স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৭৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার কিছুদিনের মধ্যেই রেল মন্ত্রকের তরফে ৫৮টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তৈরি করার টেন্ডার জারি করা হল। প্রসঙ্গত, আগেই আরো ৪৪টি এক্সপ্রেসের টেন্ডার জারি করা হয়েছিল। রেল মন্ত্রকের আশা, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যেই দেশে ছুটতে পারে ১০২টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
উল্লেখ্য, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ ভারতে চলেছিল প্রথম ট্রেন ১৮ ওরফে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দিল্লি থেকে বারাণসীর মধ্যে চলেছিল বন্দে ভারতের প্রথম রেক, যা বানাতে খরচ হয়েছিল ১০০কোটি টাকা। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে বানানো সেমি-হাইস্পিড এই ট্রেন ছিল ফ্রান্স থেকে আগত ট্যালগোর থেকে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই সস্তা। দিল্লি এবং কাটরার মধ্যে দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয় ৩রা অক্টোবর ২০১৯এ। আপাতত এই দুটি বন্দে ভারতই চালু আছে দেশে।
এর আগে ভারতের সবচেয়ে গতিশীল ট্রেন ছিল গতিমান এক্সপ্রেস, যার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার। কিন্তু ১৬ কামরার সেমি-হাইস্পিড এই মেমু-র সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। তবে দেশের রেললাইনের বেহাল অবস্থা এবং জনগণের অসচেতনতার কথা মাথায় রেখে ট্রেনটির গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটারেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
সম্পূর্ণভাবে ভারতে তৈরি দ্রুতগতির এই ট্রেন মেক ইন ইন্ডিয়ারই একটি অংশ। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে মোড় ঘোরানো সাফল্যের দাবীদারও এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সূত্রের খবর, নতুন ৫৮ টি ট্রেনের ৩০ টি তৈরী হবে আইসিএফ চেন্নাইতে, ১৪ টি তৈরি হবে এমসিএফ রায়বারেলিতে আর বাকি ১৪ টি তৈরী হবে পাঞ্জাবের কাপুরথালায় রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে। ১০২ টি ট্রেন সম্পূর্নরুপে কার্যকর হওয়ার পরে তা যে ভারতীয় রেলের সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক যোগ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।