আচমকাই ইন্টারনেট থেকে মুছে গেল তালিবানি ওয়েবসাইট, বন্ধ বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও
বিরোধী জোটের প্রত্যাঘাতে তালিবানি শাসন মুক্ত আফগানিস্তানের তিন জেলা
আফগানিস্তানে (Afghanistan) 'অনৈতিক' তালিবানি (Taliban) শাসন কায়েম হয়েছে গত কয়েক দিনের মধ্যেই। যদিও এখনও পর্যন্ত সেদেশে সরকার গঠন করেনি তালিবান। তবে সূত্রের খবর, যতক্ষণ না সেদেশ থেকে আমেরিকান সেনা চলে যাচ্ছে, ততদিন সেদেশে তালিবানি শাসন কায়েম হবে না। এর মধ্যেই বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বয়কটের ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুক ইতিমধ্যেই তালিবানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এবার একের পর এক তালিবানি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করে দেওয়ার কাজ চলছে। ফেসবুকের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এই ঘোষণার পর শনিবার থেকেই তালিবানদের বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট আর দেখা যাচ্ছে না।
সূত্রের খবর, তালিবানদের ইংরেজি, উর্দু, দারি, আরবি এবং পাস্তো ভাষায় চলত এই ওয়েবসাইট গুলি। যেগুলি শনিবার থেকে আর দেখা যাচ্ছে না। কী কারণে এই ঘটনা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঘটছে নাকি এগুলি বয়কট করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, এই ওয়েবসাইট গুলোর সাহায্যে তালিবানরা দেশ-বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করত। এমনকী তালিবানদের অনেকগুলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, যদি কোন ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে তালিবানদের সমর্থনে কথা বলেন কিংবা কোনও পোস্ট করেন, তাহলে সেই ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ স্পষ্টতই জানিয়েছে, তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠী, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। তাদের কোনও কার্যকলাপকে সমর্থন করা যায় না। তাই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে আফগানিস্তানে ফের প্রত্যাঘাত এনেছে বিরোধী জোট। পঞ্জশির এবং পারওয়ানের পরে এ বার বাগলান প্রদেশ তাদের দখলে। শুক্রবার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্র অনুগত বাহিনী এই তিনটি জেলা তালিবানদের শাসন থেকে মুক্ত করেছে বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনায় ১৫ জন তালিবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কাবুল পতনের পর সালেহ্ জানিয়েছিলেন, তাদের প্রত্যাঘাত অব্যাহত থাকবে। সেই ধারাকে বজায় রাখতে সালেহ্ বাহিনী একের পর এক এলাকা দখলের চেষ্টা করছে বলে সূত্রের খবর।