বাংলাদেশী হিন্দুদের পক্ষে সওয়াল করেই ফেসবুকে নিষিদ্ধ, বিস্ফোরক অভিযোগ তসলিমার

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 01/11/2021   শেষ আপডেট: 01/11/2021 12:19 p.m.
তসলিমা নাসরিন facebook.com/nasreen.taslima

"সত্যি কথা বলার জন্যই নিষিদ্ধ করা হয়েছে" তসলিমা নাসরিন

ফেসবুকে বাংলাদেশী হিন্দুদের হয়ে সুর চড়িয়েছিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। আর সেই কারণেই তাঁকে ফেসবুকে সাত দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এক টুইট বার্তায় এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। অভিযোগ, সত্য কথা বলার জন্যই তাঁকে এমন কোপের মুখে পড়তে হল।

ঠিক কী ঘটেছিল? এদিন এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, "সত্যি কথা বলার জন্যই আমাকে ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।" উল্লেখ্য, পুজোর সময় বাংলাদেশে মৌলবাদী দুষ্কৃতীদের হামলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অষ্টমীর দিন কুমিল্লার বহু পুজোমণ্ডপ, প্রতিমা ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল। কেবল কুমিল্লা নয়, চাঁদপুর, গাজিপুর, কুড়িগ্রাম, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার প্রভৃতি এলাকায় এমন মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ আসে। এরপর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অভিযোগ ছিল, হনুমানের উরুর উপর ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন রাখার। যদিও বাস্তবে দেখা যায় ইকবাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তিনিই এই ঘটনার মূল চক্রী। এরপর থেকেই তসলিমা নাসরিনের লেখনী গর্জে ওঠে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন। আর যার ফলস্বরূপ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি সাত দিনের জন্য নিষিদ্ধ হল বলে নিজেই অভিযোগ করেছেন।

এদিন এক টুইট বার্তায় নিজেই লিখেছেন, "ফেসবুক থেকে আমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইসলামী মৌলবাদীরা বাংলাদেশের হিন্দুদের ঘরবাড়ি, মন্দির ধ্বংস করেছে, এই অভিযোগে যে হনুমানের উরুর উপর কোরআন রাখা হয়েছিল। কিন্তু যখনই দেখা যায় ইকবাল হোসেনই এই ঘটনার মূল চক্রী, তখনই ইসলামরা চুপ হয়ে গেল। তারা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কিছুই করেনি।"

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে হিন্দু নিগ্রহে এর আগে তিনি বাংলাদেশকে 'জিহাদিস্থান' বলে উল্লেখ করেছিলেন। এমনকী সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'জিহাদিদের মা' কিংবা 'জিহাদিস্থানের রাণী' বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। আর এই কারণেই ফেসবুকে তাঁকে সাত দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হল বলে অভিযোগ করেছেন এই প্রতিবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন।