ইউক্রেন ইস্যুতে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্র, আরো একবার পুতিনকে ফোন মোদির
পরপর দুই জন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যুতে চাপানউতোর ভারতেও
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে গোটা বিশ্ব চিন্তায়। তারই মধ্যে আবার কর্ণাটক থেকে ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে। এই পরিস্থিতিতে এবার রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজকের ফোন কলে মূলত ভারতের সমস্ত নাগরিকের সুস্থভাবে স্বদেশে ফিরে আসা নিয়ে কথা হলো দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে। এই নিয়ে এই সপ্তাহে দ্বিতীয়বার পুতিনকে ফোন করলেন নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার কর্ণাটক থেকে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া যুবক নবীন শেখরপ্পার মৃত্যুতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভারতে। তৎক্ষণাৎ , এই প্রসঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি ঘোষণা করেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা সমস্ত ভারতীয় দের ভারতে ফেরানোর জন্য প্রচেষ্টা নিতে শুরু করেছে মোদি সরকার। এর পরেই আজকে সরাসরি ভ্লাদিমির পুতিনকে আজ ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই মুহূর্তে ইউক্রেনে আটকে থাকা সমস্ত ভারতীয়দের ভারতে ফেরানোর জন্য তৎপর হয়েছে ভারতীয় সরকার। যুদ্ধের কারণে আকাশ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, প্রতিবেশী দেশ গুলিতে দফায় দফায় বিমান পাঠিয়ে চলছে উদ্ধার কাজ। ইতিমধ্যেই অনেকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ, যেমন - পোল্যান্ড, রোমানিয়াতে এসে অপেক্ষা করছেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলছেন, এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেন ছেড়ে অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩ হাজারের বেশি পড়ুয়াকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদিকে আবার, আজ পাঞ্জাবের একজন পড়ুয়া ইউক্রেনে যুদ্ধের মাঝখানে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিনি এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যে, তার হৃদরোগে মৃত্যু হয়। এরপরে দ্রুত খারকিভ ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ভারতীয় পড়ুয়াদের।