করোনার বাড়বাড়ন্ত সব মোদির জন্য, আক্রমণ ফরাসি সংবাদমাধ্যমের
ভারতে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য ফ্রান্সের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম লা মঁদ-র একটি রিপোর্টে মোদীকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে
কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্র 'দ্য অস্ট্রেলিয়ান' এর থেকে অপমানিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তারা দাবি করেছিল, ভারতে করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একমাত্র দায়ী। আবারো ফের ভারতের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য মোদিকে দায়ী করে কাঠগড়ায় তুলল একটি ফরাসি সংবাদমাধ্যম। ফরাসি সংবাদপত্র 'লা মঁদ'-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে মোদীর সমালোচনা করেছেন সেই সংবাদপত্রের প্রমুখরা। এই মুহূর্তে ভারতের পরিস্থিতি করোনা ভাইরাসের দরুন অত্যন্ত খারাপ হয়ে আছে। ইতিমধ্যেই ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। প্রায় প্রত্যেক দিন বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন করোনা ভাইরাসে। এই পরিস্থিতিতে দৈনিক আক্রান্তের এখন বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষের কাছাকাছি।
ভারতবর্ষের এই পরিস্থিতির জন্য এবারে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি দায়ী করেছে ওই ফরাসি সংবাদমাধ্যম। ফরাসি সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঔদ্ধত্য, পরিস্থিতির আগাম আঁচ না করতে পারা অর্থাৎ অপরিণামদর্শিতা এবং জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা ভারতকে এই পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে।' ফরাসি সংবাদমাধ্যমের এডিটোরিয়াল কলামে এরকম একটি বিশ্লেষণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এই এডিটোরিয়াল কলামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, মোদি শুধুমাত্র 'জাতীয়তাবাদী বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তৃতা' দিয়ে গেছেন।
যখন হু হু করে ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, সেখানে তিনি নিয়মিত জনসভা করে চলেছেন। তাকে মাস্ক পরতেও দেখা যায়নি অনেক জনসভায়। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে 'সুপার স্প্রেডার' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে শুধুমাত্র ২০২১ না ২০২০ সালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই ফরাসি সংবাদপত্রে। লকডাউন ডেকে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে বিপন্ন অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বলে কটাক্ষ করেছে ওই সংবাদমাধ্যম। এছাড়াও ২০২১ সালে করোনা ভাইরাস প্রোটোকল সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে বলেও মোদীর দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছে। দেশে টিকাকরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা সমালোচিত হয়েছে। ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশের প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতার বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে তিনি বহু দেশকে টিকা দিয়েছেন। ভারতের অর্থনীতির ভালো ভেবে তিনি প্রকারান্তরে অদূরদর্শিতার মত কাজ করেছেন। যাতে ভারতের অর্থনীতি তো ভালো হয়নি, উল্টে তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে গেছে।