শ্রী সিমেন্ট বনাম ইস্ট-বেঙ্গল : চুক্তি জটে জড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন লাল-হলুদ কর্মকর্তারা
গতকাল নেতাজী ইনডোর থেকে লাল-হলুদ কর্তাদের ‘ছেড়ে খেলা’র ও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী
শ্রী সিমেন্ট ও ইস্ট-বেঙ্গলের চুক্তি নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। আর তার মাঝে পড়ে ইস্ট-বেঙ্গল সমর্থক ও ক্লাব কর্তাদের কাছে এখন লাখ টাকার প্রশ্ন, ইস্ট-বেঙ্গল কি আদৌ আইএসএল টুর্নামেন্টে দলের জার্সি চাপিয়ে মাঠে নামতে পারবে? এই শাঁখের করাত অবস্থায় কর্মকর্তারা শেষমেশ শরণাপন্ন হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের।
সমিতির অন্দরে জরুরি বৈঠকের পর এদিন ক্লাবের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। ক্লাব সভাপতি প্রনব দাশগুপ্তের সই করা এই বিবৃতির বক্তব্য এইরুপ, গতকাল নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের সূচনার পরই ক্লাবের তরফ থেকে এই জরুরি বৈঠকের আয়োজন। তাঁরা এও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে ইস্ট-বেঙ্গল ক্লাব ও লগ্নিকারী সংস্থা অর্থাৎ শ্রী সিমেন্টের মধ্যে আসন্ন ৫ বছরের চুক্তি সম্পাদনের বিষয়কে ক্লাব স্বাগত জানাচ্ছেন। পাশাপাশি ক্লাবের সাংবিধানিক গনতন্ত্র রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার বিষয়ে আলোকপাতের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবী করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, শ্রী সিমেন্টের সাথে চুক্তি নিয়ে ইস্ট-বেঙ্গলের গোলমাল তাঁদের সমর্থকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা কার্যত দুভাগে ভাগ হয়ে গেছেন। এই নিয়ে ২১শে জুলাই রেড রোডে সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন থেকে শুরু করে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। যার জেরে সমর্থকদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ পর্যন্ত করে ওইদিন। গতকালই নেতাজী ইনডোরে ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মোহন বাগান আইএসএল খেলছে। চুক্তি ঠিক আছে, নো প্রবলেম। ইস্ট-বেঙ্গলের কি মনটা একটু খারাপ? কারা আছে ইস্টবেঙ্গলের? চিন্তা নেই হয়ে যাবে’। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, তিনি চান ইস্টবেঙ্গলও আইএসএল খেলুক, মোহনবাগানও খেলুক। ওইদিন লাল-হলুদ কর্তাদের ‘ছেড়ে খেলা’র ও পরামর্শ তিনি দেন। এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই কি এবারের চুক্তির বৈতরণী পেরোবে লাল-হলুদ? যদিও টা সময়ই বলবে!