বিশ্বকাপে ছাঁটাই হতে পারে আফগানিস্তান, সঙ্কটে রশিদ, নবীদের ভবিষ্যৎ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 22/09/2021   শেষ আপডেট: 22/09/2021 4:12 p.m.
https://twitter.com/omarsuleiman504

অনিশ্চয়তার মেঘ ঘুরপাক খাচ্ছে খোদ আইসিসি-র অন্দরেও

টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হতে আর একমাসও নেই। তবে এই উত্তেজনার মরশুমে বেজায় চিন্তায় রশিদ খান থেকে মহম্মদ নবিরা। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে নাও দেখা যেতে পারে আফগানিস্তানকে। অন্তত সেরকমই আশঙ্কার কথা শোনালো ব্রিটেনের এক দৈনিক।

দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এতদিন আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ছিলেন হামিদ শিনওয়ারি। তবে তালিবান সে দেশের দখল নেওয়ার পর থেকেই তার প্রভাব পড়েছে সে দেশের ক্রিকেটেও। হামিদকে সরিয়ে আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হয়েছেন তালিবান ঘনিষ্ঠ নাসিব জারদান খান। আর এমন ঘটনাতেই স্পষ্ট, সে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণও এখন তালিবান হাতে। আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক এবং বহুলপ্রচলিত একটি টুর্নামেন্টে আফগানিস্তানের নতুন পতাকা হাতে ধরিয়েই রশিদদের মাঠে নামাতে পারে তালিবান সরকার। আর তেমনটা হলে এবারে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ খেলা প্রায় অসম্ভব। তবে চিরাচরিত আফগান পতাকা হাতে নিয়ে নামলে খেলতে অসুবিধা নেই আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের।

রশিদদের চিন্তা বাড়িয়ে সংবাদপত্রটি আরও জানিয়েছে, তেমন হলে শুধু বিশ্বকাপই নয়, আজীবনের জন্য আইসিসি-র সদস্যপদও বাতিল হতে পারে আফগানিস্তানের। আপাতত আইসিসি-র বোর্ড সদস্যের সংখ্যা ১৭। তার মধ্যে ১২ জন যদি আফগানিস্তানের সদস্যপদ খারিজের জন্য ভোট দেন, তবে আফগানিস্তানকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হবে আইসিসি।

সমস্যা রয়েছে আরও। ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থাটির নিয়ম অনুযায়ী, তাঁদের প্রত্যেকটি পূর্ণ সদস্য দেশকে মহিলাদের জাতীয় ক্রিকেট দলও রাখতে হবে। কিন্তু তালিবান সে দেশে কব্জা করার পর, মেয়েদের ক্রিকেট খেলার কথা দুঃস্বপ্নেও কল্পনাতীত। তাই সে দেশ আদৌ আইসিসি-র আওতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে।

এবছর অসাধারণ পারফরমান্সের প্রদর্শন করেছে আফগানিস্তান। সরাসরি টি-২০ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হাসিল করেছেন নবী, রশিদ, মুজিব-উর-রহমানরা। আসন্ন বিশ্বকাপে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের সাথে দ্বিতীয় গ্রুপে রয়েছেন তাঁরা। কদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে মহাসংগ্রাম। তার আগে পতাকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে সব দেশের কাছ থেকে। আর এখনও পর্যন্ত নিজেদের পতাকা পাঠিয়ে উঠতে পারেনি আফগান ক্রিকেট বোর্ড। আর তাকে কেন্দ্র করেই আশঙ্কা এবং অনিশ্চয়তার মেঘ জমতে শুরু করেছে আইসিসি এবং আফগানিস্তান ক্রিকেটারদের চারপাশে।