মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ইঞ্জেকশন চুরি, অভিযোগ খোদ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
২৬ টি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ উঠেছে
খোদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Medical college and Hospital) চুরি। অভিযোগ হাসপাতালের স্টোর রুম থেকে চুরি গেছে কয়েকটি জীবনদায়ী ওষুধের ইঞ্জেকশন। সূত্রে খবর, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডিউটিরত নার্সের কাছ থেকে চুরি গিয়েছে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন (Tocilizumab injections)। অভিযুক্ত শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, প্যাথোলজি বিভাগের নমুনা পরীক্ষার ফর্ম নিয়ে বানানো হয়েছে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন। সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন আগেই স্যোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে দু'টি অডিও ক্লিপ এবং গোটা কয়েক ছবি। যেখানে জনৈকা এক মহিলা বলছেন, "দিদি, আমি সিসিইউ-র সিস্টার বলছিলাম। বলছি যে আপনি যে ২৬ টি টসিলিজুমাব নিয়েছেন সেটা যদি কাগজে রিসিভ করে নিতেন।’’ অপর প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছে, "আচ্ছা দিদি আমি সোমবার আসব, করে দেব।’’ যদিও পরিদর্শক এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি। নমুনা ফর্মে উল্লিখিত তারিখ বলছে ২৪ মার্চ।
আর একটি অডিও ক্লিপে দুই ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে 'দেবাশিস স্যার' এবং 'নির্মল মাঝি স্যার'। এমনকী এরকম কথাও উঠে এসেছে প্রয়োজনে রিসিভ দিতে না পারলে কপি ছিঁড়ে ফেলা হবে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে এমন জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রেমডেসিভির এবং টসিলিজুমাব যথেচ্ছ প্রয়োগের নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে উপযুক্ত কারণ ও পরিস্থিতি ছাড়া এর প্রয়োগ নিষেধ। পাশাপাশি কোভিড হাসপাতাল ও নথিভুক্ত নার্সিংহোম ছাড়া এই ইঞ্জেকশন বিক্রি করতে পারবেন না প্রস্তুতকারক সংস্থা। এমন অবস্থায় সরকারি হাসপাতাল থেকে এমন চুরির অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সব মহলে।