হয় চাকরি দিন, নইলে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন : বালিগঞ্জে আর্তি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের
টেট-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তাঁদের অনুমতি ছাড়া কোনও চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা চলবে না
উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ জট কাটছেই না। রাজ্য সরকার টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া তরান্বিত করার উদ্যোগ নিতেই তাতে স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁদের অনুমতি ছাড়া কোনও চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা চলবে না। এবার সেই বিষয়ে কার্যত নাজেহাল হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। এমনকি আজকে তাঁরা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের অফিসে ডেপুটেশানও জমা দেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি এও জানিয়েছিলেন ১৬,৫০০ শূন্যপদের জন্য ২০ হাজার যুবক-যুবতী টেটও পাস করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ইন্টার্ভিউ সহ বাকি নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যাবে। যদিও সেই নিয়োগ এখন কার্যত ‘বিশ বাঁও জলে’। উল্লেখ্য, আজ যাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের অফিসে ডেপুটেশান জমা দেন, তাঁরা সকলেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ।
আজ তাঁদের বক্তব্য ছিল, যদিও গত বছরই মুখ্যমন্ত্রী আশার আলো দেখিয়েছিলেন, তবুও ইন্টার্ভিউয়ের ফল বেরিয়ে যাওয়ার সাত-আটমাস পরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। এর মাঝেই বহু চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা সরকারী চাকরিতে বসার সুযোগ হারিয়েছেন। তাই এই টেট-এর নিয়োগই এখন তাঁদের একমাত্র আশা ভরসা। তাই এই পরিক্ষায় নিয়োগ না হলে যাতে তাঁদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হয়, সে দাবী তুলেই আজ বালিগঞ্জে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।