বাংলাদেশে বারবার সংখ্যালঘু নিধনের অভিযোগ, বিদেশ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠালেন শুভেন্দু

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 19/07/2022   শেষ আপডেট: 19/07/2022 11:20 a.m.
শুভেন্দু অধিকারী

একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরেই বিতর্ক, উত্তপ্ত বাংলাদেশের টাঙ্গাইল, নড়াইল-সহ একাধিক জায়গা

ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে। অভিযোগ টাঙ্গাইল, নড়াইল-সহ একাধিক জায়গায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের লক্ষ্য করে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। গত কয়েক দিনে মন্দির, বাড়ি, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সে দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন সেদেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে সরব হলেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপের দাবি তুলে চিঠি দিলেন।

ঠিক কী ঘটেছিল বাংলাদেশে? গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশের নড়াইলে একটি ফেসবুক পোস্ট থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। যেখানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। যদিও সেই অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। তারপরেই নড়াইলের একাধিক হিন্দুদের বাড়ি, দোকান, মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। একজন স্কুল শিক্ষকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সাহাপাড়া গ্রামে আবারও একদল বর্বর জনতা হিন্দুদের বাড়িঘর ও সম্পত্তি ভাঙচুর করেছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী ড. মাননীয় এস জয়শঙ্করজিকে চিঠি দিয়ে তাঁদের হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছি।" পাশাপাশি তিনি এক ফেসবুক বার্তায় গোটা ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি ফেসবুক বার্তায় বলেছেন, "আবারও বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দীঘলিয়া গ্রামের সাহা পাড়ায় ধর্ম অবমাননার অজুহাতে আবারও হিন্দু সনাতনীদের ঘর জ্বালানো হয়, মন্দির ভাঙ্গা হয়, দোকানে লুঠপাট চালানোর পরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।"

বিরোধী দলনেতা ফেসবুক পোস্টে আরও বলেছেন, "এমন ঘটনা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর দিনের পর দিন ধরে ঘটে চলছে। বারংবার এমন সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটলে, ঐদেশের সরকারের বা স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকার ওপর সন্দেহে সৃষ্টি হয়। আদৌ কি তারা এই বিষয়ে কোনো প্রতিরোধ গড়তে ইচ্ছুক, নাকি এই রকম চলতেই থাকবে। প্রাথমিক ভাবে কিছু ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে দায়িত্ব সারবে প্রশাসন? দাঙ্গাকারীরা সাজা না পাওয়ায় অন্যরাও আশ্বস্ত হবে এবং আবার এই রকম পরিকল্পনা করবে ও রূপায়ণে মেতে উঠবে।"