বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন শোভন-বৈশাখী! আক্রমণ শোভন পুত্রের
রক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না, প্রতিক্রিয়া রত্না চট্টোপাধ্যায়ের
কাল, দশমীর সন্ধ্যায় মা দুর্গার সামনেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তরজা। নিজেকে 'বাঁশ' বলে অভিহিত করে সিঁদুরদান নিয়ে মুখ খুলেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। বলেন, "দুর্গা প্রতিমার পেছনে একটা বাঁশ থাকে জানেন তো। আমিই সেই বাঁশ। ওরা বিয়ের কথা ভাবুক। তারপর আমি দেখছি, কী করা যায়। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনও শোভনের স্ত্রী। তাই ও অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্য কোনও স্ত্রীলোকের সঙ্গে থাকে, তাহলে ওই স্ত্রীলোককে সমাজ 'রক্ষিতা' বলে। রক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না।"
শুধু রত্না চট্টোপাধ্যায় নন। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আক্রমণ করলেন শোভন-পুত্র সপ্তর্ষি। বলেন, "ওঁরা চেষ্টা করছেন সম্পর্কটাকে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করতে। কিন্তু, আসলে ওরা বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন। এসব করে আসলে উনি যেমন নিজেকে অপমান করছেন, তেমনই আমাদের পরিবারকেও আপমান করছেন।"
এক সংবাদমাধ্যমকে সপ্তর্ষি বলেন, "শোভন চট্টোপাধ্যায় স্নান করে বেরোনোর পর কালী পুজো করেন। তিনি যখন হিন্দু ধর্ম মানেন, তখন এত বড় আইন কী করে ভাঙেন! দুর্গাপুজোয় মহিলাকে সর্বোচ্চ শক্তি হিসেবে আরাধনা করা হয়। আমরা বলি, সব মহিলার মধ্যে দুর্গা রয়েছেন। আজ তিনি দুর্গাপুজোয় নিজের স্ত্রীকে অপমান করে অন্যের স্ত্রীকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন। উনি কলকাতার মেয়র ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তাই কোনও কাজ করার আগে ভাবা উচিত, তাঁকে দেখে আগামী প্রজন্ম কী শিক্ষা পাবে।"
অন্যদিকে, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুরমশাই তথা মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস বলেন, "আসলে ওরা সমাজকে দূষিত করছে। তাই প্রশাসনের উচিত ওদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করা। পাগল হয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে। ওরা যা করছে তাকে ব্যভিচার ছাড়া আর কিছুই বলে না।"