আনন্দপুর ধর্ষণ মামলায় দাদার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আর্জি যুবতীর, তদন্তে পুলিশ
সম্পত্তিগত বিবাদের জন্য দাদার বিরুদ্ধে ভুল অভিযোগ দায়ের করেছিল বোন
নিজের দাদার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গতকাল এক তরুণী পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল গ্রেফতার হয় ওই তরুণীর দাদা। গত মঙ্গলবার ওই তরুণী পূর্ব কলকাতার (Kolkata) আনন্দপুর থানাতে (Anandapur Police Station) অভিযোগ জানায় যে প্রায় ৫ মাস ধরে তাঁর ওপর যৌন অত্যাচার চালাচ্ছে নিজের দাদা। তরুণীর অভিযোগ শুনে রীতিমত হতভম্ব হয়ে যায় পুলিশ এবং মোবাইল সিগন্যালের সূত্র ধরে ওই যুবককে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই যুবক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গ্রেপ্তারের পর গতকাল যুবককে আলিপুর আদালতে (Alipur Court) তোলা হয়। তবে এরইমধ্যে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ওই যুবতী তাঁর আইনজীবী মারফত মামলা তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। যুবতীর আইনজীবী আদালতে জানান, "যুবতী তাঁর দাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিতে চায়। সম্পত্তিগত গোলমালের জন্য তিনি ভুল করে দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।"
বিচারক দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে অভিযুক্ত যুবককে একদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেইসাথে আজ আদালতে ওই যুবতীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। ধৃত যুবক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে তিনি কিছুই করেননি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, "আনন্দপুর থানা এলাকার নোনাডাঙায় ওই যুবক এবং তাঁর বোন বাস করে। ২০১৬ সালে তাঁদের মা বাবার মৃত্যু হয়। এরপর যুবতী চাকরি পেয়ে যান এবং তাঁর দাদা চেন্নাইতে চাকরি পান। গতবছর লকডাউনের সময় থেকে দাদা কলকাতায় ফিরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু করেন।" যুবতীর অভিযোগ, "তারপর গত জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত তাঁর দাদা তাকে ধর্ষণ করেন।"
তবে এই প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে যুবতীর বক্তব্যে বহু অসঙ্গতি দেখা গিয়েছে। এছাড়া ওই যুবক দাবি করেছে যে বোন প্রায় রোজ বেশি রাত করে বাড়ি ফিরত। তার প্রতিবাদ জানান তিনি। এছাড়া তাঁর অপছন্দের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করতে চায় বোন। তাই বোনের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়েছিল। তারজন্য ওই যুবতী অভিযোগ জানিয়েছে। অন্যদিকে যুবতী তার দাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে ঘটনার কিনারা করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।