বন্ধ স্কুল! এবার পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের দায়িত্ব নিল কলকাতা পুলিশ
আজ ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বিকাশ ভবন অভিযানে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে ৫২ জন
লকডাউন মানেই অফিসে যাওয়ার ঝক্কি নেই! বাড়ি বসেই কাজ, পরিবারের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানো কিংবা লকডাউন মানেই বিদ্যালয়ের কক্ষে বসে লেখাপড়ার বদলে বাড়িতে বেশ দারুণ ওয়াইফাইয়ের আওতায় থেকে আরাম করে অনলাইনে ক্লাস! এমন সুযোগ আমার কিংবা আপনার জীবনে এলেও, অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত করোনার জেরে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ, ব্যবসায় ঘাটতি হয়েছে অনেকেরই, কাজ থাকলেও বেতন কমেছে প্রচুর মানুষের।
তেমনই করোনার জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, অনলাইনে ওপেন বুক নিয়ে পরীক্ষাতেই খুশি অনেক পড়ুয়ারা। যারা অনলাইনে পরীক্ষা দিতে রীতিমতোন লড়ছে। অন্যদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে অনড় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী। আজ ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে বিকাশ ভবন অভিযানে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে ৫২ জন।
তবে এসবের মাঝেই হারিয়ে গিয়েছে শৈশব। প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, বেড়েছে শিশুশ্রম। স্কুলের বদলে কোনও রেঁস্তরা কিংবা চায়ের দোকানে কাজ ঢুকছে পড়ুয়ারা। সকলের অনলাইনে লেখাপড়ার সুযোগ না থাকায়, বিদ্যালয় ছেড়েছে অনেকেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা পরিস্থিতিতে শিশুরা তাদের অধিকার হারিয়েছে। শ্রমিক হিসেবে শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। মহামারির আগেও দেশে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখ্যযোগ্য শিশুশ্রমিক থাকলেও তারা সরকারি বা এনজিও পরিচালিত স্কুলে যেত। কিন্তু মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় এবং পরিবারে আর্থিক অনটনের কারণে দরিদ্র এই শিশুরা পুরো সময় কাজে নিয়োজিত, কাজেই স্কুলমুখী হতে আর ইচ্ছুক নন তারা।
এই পরিস্থিতিতে আরও একবার করোনা কালের কাহিনি শোনাল কলকাতা পুলিশ। শহরের দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা, যাদের পক্ষে অনলাইন ক্লাস বা টিউশন, দুইই সুদূর কল্পনা, তাদের পাশে দাঁড়াল কলকাতা পুলিশ। মাননীয় নগরপাল শ্রী সৌমেন মিত্রের প্রচেষ্টায় এবং ডেপুটি কমিশনার ট্রাফিক শ্রী অরিজিৎ সিনহার নেতৃত্বে এবার এই শিশুদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক ট্রেনিং স্কুল।
যতদিন না স্কুল খুলছে, ততদিন চলবে এমন পঠনপাঠন। জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।