আরজিকর হাসপাতালে সমস্ত সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ স্বাস্থ্য দপ্তরের, গঠিত হল কমিটি
দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সমস্যার সমাধান করতে মাঠে নামলো রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর
আরজিকর হাসপাতাল চত্বরে আবারো অশান্তির অভিযোগ। দুর্গাপূজার সময় দেখা গিয়েছিল আরজিকর হাসপাতাল চত্বরে মেডিকেল ছাত্রছাত্রীরা অনশন করেছিলেন। ফলে সেখানে একটা তীব্র অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে আর জি কর মেডিকেল কলেজে নানা রকমের সমস্যা চলে এসেছে। এই সমস্ত সমস্যার কোন সমাধান করা যাচ্ছে না। তাই অগত্যা এবারে সমস্ত জড়তা কাটাতে ময়দানে নামতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য ভবন অনশনকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠক হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের। এই বৈঠকের পরেই হস্তক্ষেপ করলেন খোদ স্বাস্থ্য সচিব।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশীষ ভট্টাচার্য্যর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয়েছে। এমনকি মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীদের কথা শুনে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে যেখানে ৬ জন প্রতিনিধি থাকবেন। এখনো অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অনড় ছাত্রছাত্রীরা। যদিও এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত অধ্যক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩১০ ঘন্টা ধরে তারা অনশন চালিয়েছেন। টানা দু'মাস ধরে চিকিৎসক পড়ুয়ারা আর জি কর মেডিকেল কলেজে অনশন চালাচ্ছেন। অধ্যক্ষ ঘেরাও থেকে শুরু করে ম্যারাথন বৈঠক, কোন কিছুতেই কোন সুরাহা মেলেনি। কোনমতে পালিয়ে বেঁচেছেন আরজিকর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ।
অন্যদিকে পুজোর মধ্যে এইভাবে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছিল চিকিৎসক পড়ুয়াদের। এই পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধান করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য ভবনের হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা গিয়েছে এই পরিস্থিতির উপরে। অন্যদিকে অধ্যক্ষের আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ুয়ারা তার পদত্যাগ দাবি করছেন। পড়ুয়াদের বক্তব্য, অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই কারণেই তারা ওনার পদত্যাগ দাবি করছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত পয়লা অক্টোবর আরজিকর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে দফায় দফায় বিক্ষোভ চালিয়ে ছিলেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। সেদিনকে দেখা গিয়েছিল অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ রীতিমতো পালিয়ে সেখান থেকে বেঁচেছিলেন।