মহিলা চিকিৎসকের শ্লীলতাহানি, ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পুলিশের
অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে বদলী করা হয়েছে ইতিমধ্যেই
তরুণী সহকর্মীকে শ্লীলতাহানি ও কু প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এস এস কে এম –এর দুই চিকিৎসককে চার্জেশিট ধরালো ভবানীপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের (সি সি ইউ) মনোতোষ সুত্রধর এবং অপরজন ঐ ইউনিটেরই বিভাগীয় প্রধান আশুতোষ ঘোষ।
ঐ মহিলা চিকিৎসক এর আগেও ঐ দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাসপাতাল করতিপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঐ তরুণী পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ঐ দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করে পুলিশ।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, ঐ চার্জশিটে একাধিক মেসেজের কথা উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা। মুল অভিযুক্ত মনোতোষ সুত্রধর প্রায়শই ‘যৌন লালসাপূর্ণ’ মেসেজ পাঠাতেন অভিযোগকারিণীকে। শুধু তাই নয়, নিজের চেম্বারে ডেকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেওয়া বা জড়িয়ে ধরার মতো অভিযোগ আছে ঐ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এমনকি অভিযোগকারিণীকে তাঁর স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্যও চাপ দিতেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। তাঁর এই অপকর্মে মদত দিতেন স্বয়ং ইউনিটের প্রধান আশুতোষ ঘোষ। এই বিষয়ে তদন্ত করতে নেমে পুলিশ বেশ কিছু ভয়েস মেসেজের সন্ধান পেয়েছেন। অভিযোগকারিণীর দাবী, ঐ ভয়েস মেসেজগুলি অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের। অভিযুক্তরা এ বিষয়ে অস্বীকার করলেও হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী তাঁদের গলা চিনিত করেছেন।
তবে ইতিমধ্যেই ঐ দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করেছিল হাসপাতাল করতিপক্ষ। দুজনকেই বদলী করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি প্রিভেনশান অফ সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট অ্যাট ওয়ার্ক প্লেস আইন মেনে ১০ সদস্যের একটি আভ্যন্তরীণ কমিটিও গঠন করেছিল এস এস কে এম করতিপক্ষ। ১৪ জুন চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করে হাসপাতাল। এবার ঐ দুই অভিযুক্তের নামে চার্জশিট গঠন করল পুলিশ।