Partha Chatterjee: সিবিআই স্ক্যানারে পার্থর পিএইচডি, ফের বিড়ম্বনায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 27/08/2022   শেষ আপডেট: 27/08/2022 10:21 a.m.
facebook.com/ParthaCofficial

পার্থর পিএইচডি 'ভুয়ো', অভিমত বিরোধীদের

২০১৪ সাল থেকেই বিরোধীরা দাবি করে আসছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি ডিগ্রি 'ভুয়ো'। "জালিয়াতি' করেই তিনি পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। এবার তারই খোঁজ শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পাশাপাশি গোটা পিএইচডি প্রক্রিয়ার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত ছিলেন, সেদিকটিও খতিয়ে দেখছে সিবিআই, খবর তেমনটাই।

আচমকাই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি নিয়ে এত তোড়জোড়ের কারণ কী? কেনই-বা সিবিআই এসএসসি দুর্নীতির পাশাপাশি এ দিকটিও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, বর্তমানে এসএসসি দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের। তাঁকে বেশ কয়েকবার জেরা করেছে সিবিআই। তল্লাশি হয়েছে তাঁর ফ্ল্যাটেও। সেখানেই নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডির নথিও পাওয়া গিয়েছে, খবর সিবিআই সূত্র মারফত। তারপর থেকেই সিবিআইয়ের নজরে পার্থর পিএইচডি।

উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০১২ সালে পিএইচডির জন্য 'রিসার্চ এলিজিবিলিটি টেস্ট' বা রেট (RET) পরীক্ষা দেন। তাতে তিনি নির্বাচিত হন। পিএইচডির নিয়ম মোতাবেক তাঁর কোর্স ওয়ার্কের ৭৫ শতাংশ ক্লাস বাধ্যতামূলক। যদিও একটি সূত্র মারফত খবর, তিনি নাকি মেরেকেটে দু'টি ক্লাস করেছিলেন। তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল 'ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি টু নলেজ ইকোনমি - দ্য রোল অব হিউম্যান রিসোর্স উইথ রেফারেন্স টু ইন্ডিয়া'। ২০১৪ সালে এই বিষয়ে তাঁর গবেষণার কাজ শেষ হয়। তিনি ডক্টরেট উপাধিও পান। কিন্তু বিরোধীরা বারবার বলে আসছিলেন, পার্থর পিএইচডি 'ভুয়ো'। সিবিআইয়ের এই তৎপরতার পরেই এই বিষয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হল, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।