নিয়োগে অস্বচ্ছতা, বিনা পরীক্ষা ও নথিতেই রাজ্যে চাকরি করছেন ১২জন শিক্ষক!
এ বিষয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট
পরীক্ষায় পাশ করেননি, নেই পর্যাপ্ত নথি! তবুও সরকারি চাকরি করছেন অনেকেই। এমনকি নথি যাচাইয়ের কাজও সঠিক ভাবে করেননি খোদ দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা। তবে তাঁরা আদৌ নথি যাচাই করেননি নাকি অন্য বিষয়? তা যদিও অধরা। তবে এ বিষয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। ক্ষোভে নিজেই মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন বিচারপতি। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিলেন তিনি।
খবর, প্রায় ১২জন প্রার্থীদের পরীক্ষা পাশের কোনও নথি নেই। চাকরিতে সুযোগ পাওয়ার জন্যও প্রয়োজনীয় নথিপত্র নেই তাঁদের কাছে। অথচ চাকরি করছেন। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয় এক প্রার্থীকে। তাঁর অভিযোগ, সমস্ত নথি যাচাই করে তাঁকে নিয়োগ করা হলেও পরবর্তীতে ফের তাঁর নথি চেয়ে পাঠায় জেলা প্রাথমিক পরিদর্শক। আর সেখানেই তিনি নথি দেখাতে পারেননি। এরপর শুরু হয় তাঁর চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন।
ওই প্রার্থী বুঝতে পারেন, তাঁর চাকরি নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই সমস্যা হওয়ার আগেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ করেন, নথি না থাকলে কেন প্রথমে তাঁকে চাকরি দেওয়া হল? এরকম অবহেলা কেন আধিকারিকদের? এর সঙ্গেই ওই প্রার্থী আরও বারো জনের নাম তুলে আনেন। যারাও একই ভাবে পরীক্ষা পাশ ছাড়াই চাকরি করছেন। নিয়োগে অস্বচ্ছতা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কাঠগড়ায় তোলেন বিচারপতি। এরপরেই আদালতের সাফ নির্দেশ, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তাই রিট পিটিশনের এই মামলাকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দায়ের করা উচিত। কী ভাবে ওই নিয়োগ করা হয়েছে, প্রশ্ন তোলে আদালত।