রাজ্যে পেরিয়ে দেশ-বিদেশেও বিরাজ করছে JU, তবুও মর্যাদা দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র
বছরের পর বছর কেন্দ্রের করা উচ্চশিক্ষার র্যাঙ্কিংয়ে যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম দশে থাকে
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্স) মর্যাদা প্রদান করতে ব্যর্থ হল কেন্দ্রীয় সরকার। UGC অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। এরপরেই শুরু তুমুল বিতর্ক। রাজ্যে পেরিয়ে দেশেও যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাজ করছে, তার সঙ্গে এমন অনীহা, প্রশ্নের মুখে ফেলছে ইউজিসি-কে। শনিবার এই সিদ্ধান্তকে 'দুর্ভাগ্যজনক' হিসেবে আখ্যা দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনও সরকারি ভাবে তাঁদের জানানো হয়নি। সব কিছু জেনে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এবং ইউজিসিকে তিনি চিঠি দেবেন।
তিনি আরও বলেন, "বছরের পর বছর কেন্দ্রের করা উচ্চশিক্ষার র্যাঙ্কিংয়ে যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম দশে থাকছে। এর পর কেন্দ্রের এই মনোভাব পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষার পক্ষে অসম্মানজনক।"
তিনি পূর্বের কথা মনে করিয়ে বলেন, "বছর কয়েক আগে কেন্দ্র যে কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেশের উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য বেছে ছিল তার মধ্যে প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মধ্যে এ রাজ্যের যাদবপুর এবং তামিলনাড়ুর অন্না বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, এই মর্যাদার সঙ্গে যে এক হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তার ঘোষণা হয়েছে তার ২৫ শতাংশ রাজ্যকে দিতে হবে।"
তবে এসময় রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার দরুন, রাজ্যে তা দিয়ে উঠতে পারেনি। এ বিষয়ে সুরঞ্জনবাবু জানান, "১ হাজার কোটির বদলে ৮০০ কোটি টাকা দেওয়া হোক। তার ২৫ শতাংশ যাদবপুর নিজেদের তহবিল থেকে দেবে। প্রসঙ্গত, অন্না বিশ্ববিদ্যালয়কেও এই সম্মান দেওয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যাদবপুরের সঙ্গে এবার বাদ দেওয়া হচ্ছে জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়কেও। রাজ্যের পক্ষে একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। উৎকর্ষের সঙ্গে টাকার যোগও থাকতে পারে না।"