জোড়াবাগান নাবালিকা খুনে আটক বাড়ির কেয়ারটেকার, নৃশংস খুনে কাঁপছে এলাকা
খাবারে মাদকদ্রব্য মিশিয়ে যৌন নির্যাতন, এরপর শ্বাসরোধ করে ঘুষি, পরে গলা কেটে খুন!
একের পর নৃশংস অপরাধের হয়রানিতে কাঁপছে গোটা দেশ। বাদ যাচ্ছে না কোনো রাজ্য, উপছে পড়ছে অপরাধের পরিসংখ্যান। সম্প্রতি, এমনই ঘটনার স্বাক্ষী জোড়াবাগান এলাকা। গতকাল থেকেই উত্তাল জোড়াবাগান এলাকা।
গতকাল দুপুরে খবর মিলেছিল, নয় বছরের একটি নাবালিকা তার মামার বাড়ি ঘুরতে আসে এবং পাড়ার অন্যদের বাচ্চাদের সাথে খেলতে খেলতে হঠাৎই বেপাত্তা হয়ে যায়। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দিয়ে, নাবালিকা রাত আটটায় মামাবাড়ি আসে আর সাড়ে আটটার পরে উধাও হয়ে যায়। এলাকায় খোঁজাখুঁজি করলেও, মেলেনি হদিশ। এরপর স্থানীয় এলাকায় ডায়েরি করতে গেলেও, পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করেন এবং বলেন আশেপাশে খুঁজে দেখতে।
এরপরে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বাড়ির সিঁড়িতে মেলে ছোট্ট নাবালিকার মৃত দেহ। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপরেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আনা হয় পুলিশের স্নিফার ডগ৷ এছাড়া ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশের সায়েন্টিফিক উইং-ও। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ৷ ঘটনার পূর্ণ তদন্তভার নেয় লালবাজার হোমিসাইড শাখা। অতঃপর পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নেয় বাড়ির কেয়ারটেকার।
প্রাথমিক তদন্তের পর উঠে আসে নৃশংসতার ছবি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃতার পাকস্থলিতে বিরিয়ানি এবং চিপস মিলেছে। অভিযোগ, বুধবার সন্ধে বেলায় বিরিয়ানি ও চিপস-এর লোভ দেখিয়ে বাচ্চাকে ঘরে নিয়ে যান ওই কেয়ারটেকার। মাদক দ্রব্য মিশিয়ে তাকে তা খাওয়ানো হয়। এরপরেই চলে যৌন নির্যাতন। নাবালিকার কিছুটা চেতনা ফিরতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালায় সে, লাভ হয়নি তাতে। বরং অভিযুক্ত ওই কেয়ারটেকার ঘুষি মেরে নাবালিকার দাঁত ভেঙে দেয়। পরে মাথার চুলের মুঠি করে ধরে গলা টিপে ধরেন। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে ওই বালিকাকে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ এদিকে অভিযুক্তের পাশাপাশি বহু মানুষও খোঁজাখুঁজি করতে ছাদে উঠেছিলেন। ফলে প্রচুর পায়ের চাপে অপরাধী একজনই নাকি আরও অনেকে ছিল তা বোঝা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।