বাবার মৃত্যুর পরও নামঞ্জুর ছুটির আবেদন, মানসিক অবসাদ থেকেই কি 'ঘাতক' জওয়ান?

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 07/08/2022   শেষ আপডেট: 07/08/2022 10:42 a.m.
https://instagram.com/basil_saleem_

সিআইএসএফ জওয়ান অক্ষয়কুমারের এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর প্রকৃত কারণ ঘিরে একের পর এক ধন্ধ

শনিবার পার্কস্ট্রিটের জাদুঘরে গুলি কাণ্ডের কয়েক ঘন্টা অতিক্রান্ত। তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এমন ঘটনার নেপথ্যের কারণ কী? হন্যে হয়ে খুঁজছে তদন্তকারী দল। আচমকাই এই ঘটনা নাকি এর পেছনে দীর্ঘদিনের চাপা আক্রোশ কাজ করেছিল, সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার মূল অভিযুক্ত অক্ষয়কুমার মিশ্র আদতে ওড়িশার বাসিন্দা। তিনি সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগেই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর তিনি ছুটির আবেদন করেছিলেন, যদিও সেই আবেদন মান্যতা পায়নি। সেই কারণেই কি তাঁর মনে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছিল? যদিও গোটা বিষয়টি ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান। তদন্তের পর গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে, বলছে তদন্তকারী দল।

সিআইএসএফ জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্রের গুলিতে যাঁর মৃত্যু হয়েছে সেই রঞ্জিত সারেঙ্গির বাড়িও ওড়িশা। এই দিকটিও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। তাঁদের মধ্যে পূর্ব কোন শত্রুতা কিংবা ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল কী না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও আর একটি সূত্র মারফত খবর, গুলির লক্ষ্যবস্তু মৃত রঞ্জিত সারেঙ্গি ছিলেন না। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন সেই ব্যক্তিই ছিলেন মূল টার্গেট। যদিও সবটাই জল্পনা।

উল্লেখ্য, পার্কস্ট্রিটে শনিবার সন্ধ্যায় প্রায় ১৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল বলে খবর। নিজের সার্ভিস রাইফেল দিয়েই আচমকা এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে সিআইএসএফ জওয়ান অক্ষয়কুমার মিশ্র। তারপর সিআইএসএফের ব্যারাকেই আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। তাঁর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ফলে কলকাতা পুলিশের বাহিনী বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে অপারেশনে নামে। মাইকের মাধ্যমে বাইরে থেকে প্রথমে অক্ষয়কে বোঝানো হয়, ফেলে দিতে বলা হয় অস্ত্র। পাল্টা তিনিও ভেতর থেকে পুলিশকে অস্ত্র ফেলে দিতে বলেন। টানটান উত্তেজনায় যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় কাটে টানটান প্রহর। অবশেষে ওই ব্যারাকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে দেয় পুলিশ, নিরস্ত্র অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় সেই জওয়ানকে।