বর্তমানে কেমন আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য? খবর নিলেন মুখ্যমন্ত্রী
আপাতত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও পৌঁছেছে ৯২ শতাংশে, মিনিটে ৩ লিটার অক্সিজেন
সকালে আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সূত্রের খবর, গতকাল রাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আজ সকালে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৮২ তে নেমে যায়, বলে জানান চিকিৎসকরা। এরপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আর বাড়িতে না রেখে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন এই মুহুর্তে। সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সিওপিডি সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা বাড়লে শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। তবে বুদ্ধদেবের শারীরিক অবনতির কারণ সিওপিডির সমস্যা কি না, তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকেরা।
গতকাল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা সুচেতনা জানিয়েছিলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু গতকাল রাত থেকে আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা আর তাঁকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার ঝুঁকি নিলেন না। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।
তবে বর্তমানে তিনি কেমন আছেন, সে বিষয়ে খবর মেলেনি। যদিও বিকেলে খবর মিলেছিল, মিনিটে ৩ লিটার অক্সিজেন দিতে হচ্ছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। আপাতত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও পৌঁছেছে ৯২ শতাংশে। তবে তাঁর ফুসফুসে নতুন কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
উল্লেখ্য, করোনা মুক্ত হয়ে সোমবারই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। কাজেই তিনিও পুরোপুরি সুস্থ হননি। তবে বুদ্ধদেবের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে ফোন করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেমন আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, চিকিৎসকরাই বা কী বলছেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এছাড়াও মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়েও খোঁজ খবর নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথম নয়, এর আগেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যখন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখন তাঁর নিয়মিত খোঁজ নিতেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালেও ছুটে গিয়েছিলেন তিনি।