বুর্জ খলিফার জন্য এবার ট্রেন পরিষেবাতেও কোপ
নবমী থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ বুর্জ খলিফা
এবারের পুজোয় শ্রীভূমি (Shreebhumi) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। প্রথমে লেজার লাইট নিয়ে সমস্যা, পাইলটদের অভিযোগের ভিত্তিতে বন্ধ হল লেজার লাইটের আলোকসজ্জা। এরপর এল ভিড়ের চাপে বেসামাল শ্রীভূমি। অষ্টমীতে বন্ধই হল 'বুর্জ খলিফা'-র সব আলো, দর্শনার্থীদের জন্য পুরো মণ্ডপেই পড়ল কোপ। এবার ভিড় ঠেকাতে ট্রেন পরিষেবাতেও পড়ল কোপ। পুলিশের অনুরোধ মেনে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল। বিধাননগর স্টেশনে আর দাঁড়াবে না ডাউন ট্রেন।
প্রত্যেক বছর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব চমকের পর চমক দিয়ে থাকে। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী সুজিত বসুর ক্লাব বলে পরিচিত এই পুজো মণ্ডপে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। ভিড় ঠেকাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। অন্যান্য বছর তা-ও ভিড়ের বাড়বাড়ন্ত অন্য কথা, তবে এবার করোনা কাঁটার মধ্যেই এত ভিড় দেখে প্রশাসনের চক্ষু চড়কগাছ। কীভাবে এত ভিড় ঠেকানো সম্ভব তা নিয়ে চলতে থাকে জল্পনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে বুর্জ খলিফার সব আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাতেও সামাল দিতে না পারায় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে অষ্টমীর মাঝরাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হয়, নবমী থেকেই কোন দর্শনার্থী শ্রীভূমি পুজো মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না।
এবছর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের বিশেষত্ব দুবাইয়ের সর্বোচ্চ টাওয়ার বুর্জ খলিফার আদলে মণ্ডপ সজ্জা। খবর চাউর হতেই মহালয়ার পর থেকেই মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। আশঙ্কা ছিলই যে যেকোন মুহূর্তে বড়সড় বিপদ আসতে চলেছে। কোনভাবেই এখানকার ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না। মানুষের লাগামছাড়া উপস্থিতির কারণে প্রশাসনের কাছে অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল এই বুর্জ খলিফা। শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দিতে দর্শকদের জন্য বন্ধই হয়ে গেল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো মণ্ডপ।