দু'হাজার টাকা দিলেই মিলছে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট, সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন বন্দর
পেট্রোপোল-বেনাপোল দিয়ে অবাধে চলছে এদেশ-ওদেশ যাতায়াত
সীমান্ত পেরিয়ে ওদেশে যাওয়ার জন্য যে নেগেটিভ করোনা রিপোর্ট প্রদর্শন করা জরুরি তা মিলছে করোনা পরীক্ষা ছাড়াই। হ্যাঁ, দু'হাজার টাকা খরচ করলেই ঝাঁ-চকচকে নকল করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এক্কেবারে হাতের মুঠোয়। আর বাস্তবের সাথে হুবহু মিলে যাওয়া এই ভুয়ো রিপোর্ট দেখিয়ে ওপারে যাওয়া আটকায় কে! পেট্রোপোল-বেনাপোল সীমান্তে এই ভুয়ো নেগেটিভ করোনা রিপোর্ট তৈরির চক্রের হদিশ পাওয়া গেছে এবং বিষয়টি নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বন্দর এলাকায়।
অভিবাসন সূত্রে খবর, এই চক্রটি বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের নাম লেখা জাল রিপোর্ট তৈরি করে। ফটোশপ করে তৈরি করা ওই রিপোর্ট একনজরে বাস্তবের সাথে পৃথক করা দুঃসাধ্য। আর এই কায়দাতেই দু'হাজার টাকার বিনিময়ে নেগেটিভ রিপোর্ট বিলি করার ব্যবসা ফেঁদে বসেছে ওই চক্র। ইতিমধ্যেই পেট্রোপোল-বেনাপোলে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি জাল রিপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মুখ্যত কিউআর কোডটি স্ক্যান করলেই ধরা পড়ছে এটি জাল। পেট্রোপোলের মুখ্য অভিবাসন অফিসার তরুণকান্তি বিশ্বাস জানান, "পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। পেট্রাপোলে আরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।"
ভারত থেকে বাংলাদেশে বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত করতে গেলে পাসপোর্ট-ভিসার পাশাপাশি নেগেটিভ করোনা রিপোর্ট থাকাও জরুরি। পজেটিভ রিপোর্ট এলে পারাপার সম্ভব নয়, তাই টেস্ট না করিয়েই পারাপারের লক্ষ্যে এই জাল রিপোর্ট কিনতে মরিয়া হয়েছে আমজনতা। তবে বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসছেন যারা তাদের করোনা রিপোর্ট ভুয়ো কিনা যাচাই করা অসম্ভব, তাই এই চক্রের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে সেদেশের প্রশাসনকেও। বাংলাদেশ ও ভারত দুদিকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ব্যপক প্রভাব বিস্তার করছে উত্তোরোত্তর। তাই সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত বন্দর।