পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি ব্ল্যাকমেলের শিকার? ইডি-র তদন্তে উঠে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য
কমিশন বেশি না দিলে কি সমস্ত তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়?
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ব্ল্যাকমেল করতেন? নিজের কাছে টাকা রাখার আরও বখরা চাইতেন তিনি? বাড়তি 'কমিশন' না দিলে সমস্ত তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিতেন? এমনই কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ইডি সূত্রেই এমন কথা জানাচ্ছেন একাংশ।
সূত্র মারফত খবর, দীর্ঘদিন ধরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এমন বনিবনা চলছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেআইনি টাকার 'অঘোষিত ব্যাঙ্ক' ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তার জন্য মিলত মোটা অঙ্কের কমিশন। সেই কমিশন নিয়ে রীতিমতো চলত দরকষাকষি। শেষের দিকে সেই কমিশন ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, তদন্তকারীদের দাবি এমনটাই।
এমনকী একসময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন টাকা হাতিয়ে মুম্বই পালিয়ে গিয়েছিলেন অর্পিতা। তাঁকে খুঁজে বের করতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অবশেষে তাঁর খোঁজ মেলে। তারপর তাঁদের একান্ত বৈঠকে ফের টাকার কমিশন নিয়ে নতুন চুক্তি হয়। যদিও গোটাটাই মৌখিক। এমনকী এ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রীতিমতো হুশিয়ারি দিতেন অর্পিতা এমনটাই খবর। বখরার টাকা ঠিকমতো না পেলে সমস্ত তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার 'হুমকি' দেওয়া হত বলেও খবর।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৫০ কোটি টাকার বেশি। পাশাপাশি একাধিক ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি, গয়না, জমির কাগজ, বাংলোর কথা জানিয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা। এগুলোর একটা বড় অংশ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। একজন সামান্য মডেল হয়ে এত টাকা কীভাবে তিনি পেলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এরমধ্যেই এই নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আনল ইডি।