করোনা রিপোর্ট না আসায় তিনদিন হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ, বেহাল অবস্থা কলকাতার হাসপাতালে
বাঘাযতীন হাসপাতলে এমন ঘটনা ঘটেছে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বেহাল অবস্থা গোটা দেশবাসীর। দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় গগনচুম্বী রূপ নেওয়ায় রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছে গোটা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। গোটা দেশের মধ্যে বাংলাতেও স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল বেহাল হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে খাস কলকাতাতে করোনা রিপোর্ট না আসার জন্য তিনদিন ধরে হাসপাতালে মর্গে এক বৃদ্ধার মৃতদেহ পড়ে থেকে কার্যত পচন ধরে গেছে। তারপর চার দিনের মাথায় করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলে সেই পচাগলা দেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হয়। এরকম ঘটনা রীতিমতো ক্ষুব্ধ মৃতার পরিবার।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ছিলেন মিনতি ঘোষ নামক ওই বৃদ্ধা। তাঁর জ্বর না থাকলেও প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে সে বাঘাযতীন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল। সেখানে পরীক্ষা করে দেখা যায় যে তাঁর অক্সিজেন লেভেল অনেকটাই নেমে গেছে। তারপর ২১ এপ্রিল তার করোনা রিপোর্ট করানো হয়। তবে সেদিন রাতেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। কিন্তু করোনা রিপোর্ট না আসার কারণে তাঁকে হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। তারপর পেরিয়ে যায় ৩ দিন। অবশেষে চতুর্থ দিনে রিপোর্টে জানা যায় ঐ বৃদ্ধার করোনা নেগেটিভ আছে। তারপর বৃদ্ধার পচন ধরা দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন অভিযোগ জানিয়েছে যে অহেতুক মর্গে পচন ধরানোর কি দরকার ছিল? তবে অবস্থার কথা স্বীকার করে বাঘাযতীন হাসপাতালের এক কর্তা জানিয়েছেন, "বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। করোনা টেস্টের স্যাম্পল পাঠালেও তার রিপোর্ট আসতে অনেকদিন সময় লাগছে। তাই প্রবল সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।"