হাওড়ার ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক, নাম জড়িয়েছে ওসি-র
অতীতে কসবা থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করতেন ধৃত সৈকত
এক প্রৌঢ়কে অপহরণ করে রুপোর গয়না ছিনতাইয়ের ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের দুই পুলিশকর্মী। ওই ঘটনায় এবার গ্রেফতার আরও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। যিনি কলকাতার কসবা থানায় কর্মরত ছিলেন।শুক্রবার হাওড়ার জগাছার বাড়ি থেকে সৈকত চট্টোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেছে বড়বাজার থানার পুলিশ। শুধু তাই নয়, ছিনতাই-কাণ্ডে বি-গার্ডেন থানার ওসির নামও জড়িয়েছে বলে খবর তদন্তকারীদের সূত্রে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন বড়বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা সমীর মান্না। অভিযোগ ছিল, হাওড়া স্টেশনের কাছে বাস থেকে নামতেই তাঁকে সাদা গাড়িতে তুলে নিয়ে যান পুলিশের পোশাক পরিহিত চার ব্যক্তি। এবং পরে তাঁকে নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা গেটের কাছে নামিয়ে দিয়ে তাঁর হাতে থাকা রুপোর গয়নার ব্যাগ কেড়ে নেন অপহরণকারীরা। এরপর ওই ব্যক্তি সোজা থানার দারস্থ হন। তিনি এই ভাবেন যে, দুষ্কৃতীদের দল পুলিশের পোশাক পরে গয়না লুঠ করেছেন। অভিযোগ দায়ের করার সময় পুলিশকে তেমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তদন্তে নামতেই অন্য খবর। দুষ্কৃতী নয় বরং পুলিশই ছিল চোর।
অভিযোগ দায়ের হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই সাদা গাড়ির চালক বছর পঁয়ত্রিশের যুবক সঞ্জয়কুমার শাহকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করেই উত্তর ২৪ পরগনার উত্তর নারায়ণপুরের বাসিন্দা ফিরোজ মণ্ডল এবং জয়নগরের আব্দুসালেম শেখ নামে দুই ব্যক্তির সন্ধান পায় পুলিশ। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করেই হাওড়া সিটি পুলিশের দুই কনস্টেবল সুরজিৎ সরকার এবং সমীরণ পাত্রকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।