রাত পোহালেই বিসর্জন, আজ থেকেই যাবতীয় কাজ সেরে রাখছে কলকাতা পুরসভা
বিসর্জন পর্বের যাবতীয় দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দেবাশিস কুমার
আজ নবমী। পুজোর শেষ প্রস্তুতি তুঙ্গে। বাঙালির হৃদয়ে ঘন মেঘ। তবে মন খারাপ করে শেষ দিন মাটি করা যায় না, তাই নবমীতেও তিলোত্তমার ভিড় তুঙ্গে। কাল দশমী। বিসর্জনের দিন। যেন সব সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়, তাই নবমী থেকেই বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। সূত্রে খবর, "জাজেস ঘাট, কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাট এই তিন ঘাটে মোট চারটি ক্রেন থাকবে।কদমতলা ঘাটে গঙ্গার জলে ভাসমান বার্জের উপর একটি ক্রেন থাকবে এবং পাড়েও একটি ক্রেন থাকবে। নিমতলা এবং জাজেস ঘাটে পাড়ের উপরে একটি করে ক্রেন থাকবে। জলে প্রতিমা পড়লেই সেই ক্রেন দিয়ে কাঠামো টেনে তোলা হবে।"
কলকাতা পুরসভার তরফে একটি সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, এই পদ্ধতিতে বিসর্জন দেওয়া হলে প্রতিমার গায়ে থাকা রং ও রাসায়নিক পদার্থের গঙ্গায় মিশে যাওয়া রোধ করবে। এই বিসর্জন পর্বের যাবতীয় দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দেবাশিস কুমার। তিনি ইতিমধ্যেই ঘাট পরিদর্শনে করেছেন।
কলকাতা পুরসভার আরও বক্তব্য, এই পদ্ধতিতে প্রতিমার মাটি পৃথক করে দেওয়া যাবে কাঠামো থেকে। যদিও এই নতুন পদ্ধতি নিয়ে বেশি মুখ খুলতে রাজি নন তাঁরা। উল্লেখ্য, প্রতি বছর কলকাতার গঙ্গায় সব মিলিয়ে হাজার চারেক প্রতিমার নিরঞ্জন হয়। যেহেতু থিমের পুজোগুলির বিসর্জন শেষে হয়, তাই আশা করা হচ্ছে গতকাল ভিড় পড়বে বারোয়ারি পুজোগুলির। সঙ্গে ভিড় হবে বাড়ির পুজো এবং আবাসনের পুজোর।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সতর্কতা এবং বিধি মেনেই হবে বিসর্জন। গঙ্গার জল দূষিত না হওয়ার জন্যই এই নয়া ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে। দূষণ আটকাতে ফুল, মালা–সহ পুজোর নানা উপকরণ আগেই একপাশে করা জায়গায় ফেলে দিতে হবে। সেগুলি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবে কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। নিরাপত্তার জন্য রাখা হবে পর্যাপ্ত পুলিশ।