বাংলার যুব সমাজ লড়াই করছে, আরও করতে হবে, ১১ তম DYFI সম্মেলনে বার্তা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের
আজও তিনি বাংলার যুব সমাজের অনুপ্রেরণা, আজও তাঁর কথায় শত শত ছাত্র, যুবক-যুবতী শ্রেণিহীন সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেন
প্রায় ৮০-র গোড়ায় বয়স। ঘর থেকে বেরোতে পারেন না। দিনের একটা বড় সময় তিনি শয্যাশায়ী। কিন্তু মস্তিষ্ক এখনও প্রখর। প্রতিদিন কোথায়, কী ঘটছে খোঁজ রাখেন। খোঁজ রাখেন দলের অন্দরের খবরও। হ্যাঁ, তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ১১ তম সর্বভারতীয় সম্মেলন। চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সমর্থকরা এসেছেন। তাঁদের মতামত ভাগ করে নিচ্ছেন। প্রত্যাশা ছিলই যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কাছ থেকে কিছু শোনার। তিনি তো বাংলার যুব সমাজের প্রতিনিধিস্থানীয়। আজও তাঁর আহ্বানে শিউরে ওঠেন একদল বাংলার শ্রেণিহীন সমাজের স্বপ্নদেখা তরুণদল।
এদিন ডিওয়াইএফআইয়ের ১১ তম সর্বভারতীয় সম্মেলনে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখোপাধ্যায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠ করেন। কথা ছিল তাঁর মুখের কথা সবাইকে শোনানো, কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা সম্ভবপর হয়নি। একটি কাগজের টুকরোয় বাংলার যুব সমাজের উদ্দেশ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শুভেচ্ছাবার্তা পেশ করা হয়।
কী ছিল সেই শুভেচ্ছা বার্তায়? কথাগুলি এইরকম "বর্তমানে আমাদের রাজ্যে এবং দেশে যে জনবিরোধী ও দমনপীড়নের সরকার চলছে, তা প্রতিহত করতে পারে একমাত্র বামপন্থী আন্দোলন। সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে সমস্ত প্রতিকূলতা অগ্রাহ্য করে পশ্চিমবঙ্গের ডিওয়াইএফআই কর্মীরা রাজ্যের সর্বত্র আন্দোলন সংগঠিত করছেন। তাঁদের সংগ্রামকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।"
প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালে তৈরি হওয়া প্রাদেশিক যুব ফেডারেশনের প্রথম সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ষাটের দশকে বামমনস্ক ছাত্র-যুবদের আন্দোলন যে মাত্রা পায়, তা অবশ্য স্মরণযোগ্য। এরপর আশির দশকে সর্বভারতীয় স্তরে তা উন্নীত হয়। সব মিলিয়ে সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ১১ তম সর্বভারতীয় সম্মেলন ইতিহাস, বর্তমান, ভবিষ্যতের পথনির্দেশিকায় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সেই সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শুভেচ্ছাবার্তা বাড়তি অক্সিজেন জোগাল বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।