‘১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা ‘ভিক্ষা’, ২০১৪ সালেই ‘আসল স্বাধীনতা’ পাওয়া গিয়েছে’, বিতর্কিত মন্তব্য কঙ্গনার
অভিনেত্রীর মন্তব্যের সমালোচনায় সাধারন নাগরিক থেকে বিশিষ্টবর্গ
বিতর্কিত মন্তব্য এবং বলিউড স্টার কঙ্গনা রানাউত যেন একে অপরের পরিপূরক। একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট খোয়ানোর পর বেশ কিছু সময় মুখ খুলতে দেখা যায়নি বলিউডের ‘কুইন’কে। তবে বেশি দিন যেতে না যেতেই ফের মুখ খুলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন তিনি। যার জেরে এবার কঙ্গনার সমালোচনায় বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী থেকে শুরু করে সমাজের নানান শ্রেণীর মানুষ।
কিন্তু কি বলেছিলেন তিনি? এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা যদি ভিক্ষা করে পাওয়া যায়, তাহলে তা কি করে স্বাধীনতা হতে পারে? যে স্বাধীনতা পাওয়া গিয়েছিল, তা ছিল ভিক্ষা। প্রকৃত স্বাধীনতা পাওয়া গিয়েছে ২০১৪ সালে’।
তাঁর এই বক্তব্য দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার সাথে বইতে থাকে সমালোচনার ঝড়। সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তি সকলেই অভিনেত্রীর বক্তব্যের নিন্দা করেন। কঙ্গনার বিরুদ্ধে মুম্বাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন আম আদমি পার্টির জাতীয় নির্বাহী সদস্যা প্রীতি শর্মা মেনন। এমনকি বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কঙ্গনার সমালোচনা করতে শোনা গেছে বিজেপির সাংসদ বরুণ গান্ধীকেও।
কঙ্গনার এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে বরুণ টুইট করে লিখেছেন, ‘কখনও মহাত্মা গান্ধীর ত্যাগ এবং অপমান, কখনও তাঁর হত্যাকারীর প্রতি শ্রদ্ধা, আর এখন মঙ্গল পাণ্ডে থেকে শুরু করে রানী লক্ষ্মীবাই, ভগত সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এবং লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবলিদানকে চূড়ান্ত অবজ্ঞা। এই চিন্তাভাবনাকে পাগলামি, না দেশদ্রোহ বলা যায়?’
বরুনের পাশাপাশি বলিউড অভিনেত্রীর মন্তব্যের কট্টর বিরোধিতা করেছেন আকালি দলের শীর্ষ নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা। তিনি টুইট করেছেন, ‘মণিকর্ণিকার অভিনেত্রী কিভাবে স্বাধীনতাকে ভিক্ষা বলে অভিহিত করতে পারেন? লক্ষ লক্ষ সংগ্রামী শহিদের প্রানের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে ভিক্ষা বলা কঙ্গনা রানাউতের মানসিক দেউলিয়াপনা’।
উল্লেখ্য, তিনদিন আগেই পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন মণিকর্ণিকা খ্যাত এই অভিনেত্রী। আর তার কিছুদিনের মধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের সংবাদের শিরনামে তিনি।