পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি অর্জন করতে যাবেন? এদেশে বৈধ তো? কী বলছে UGC, AICTE
চিনের ক্ষেত্রেও কী এই নয়া নিয়ম? এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী
আপনি কি পাকিস্তানে (Pakistan) কোন উচ্চশিক্ষার কিংবা সাধারণ কোন ডিগ্রি কোর্স করতে যাবেন বলে ঠিক করেছেন? কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভারতে এসে আপনি চাকরি পাবেন তো? ইউজিসি (UGC) এবং এআইসিটিই (AICTE) শুক্রবার ভারতীয় ছাত্রদের পাকিস্তানের কোনো কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের নাম নথিভুক্ত না করার জন্য অনুরোধ করেছে। তা না মানলে পড়ুয়ারা এ দেশে চাকরি খোঁজা বা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
উল্লেখ্য, এই অ্যাডভাইসরি বোর্ড চিনে উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রেও নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে। ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (UGC) এবং অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (AICTE) দ্বারা জারি করা যৌথ নির্দেশিকায় ভারতীয় ছাত্রদের চিনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা করার এক মাসের মধ্যে সতর্ক করে বলা হয়েছিল যে পূর্বানুমতি ছাড়াই শুধুমাত্র অনলাইন মোডে কোর্স করলে তা বিবেচিত হবে না। এমনই নভেম্বর ২০২০ সাল থেকেই চিন সরকার করোনার কারণে সমস্ত ভিসা বাতিল করেছে। তাই সতর্কতার সঙ্গে উপযুক্ত অনুমতি ছাড়া যেকোন কোর্স করলে তা গৃহীত হবে না।
তবে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে কোন ছাড় নেই। বলা হয়েছে, "সংশ্লিষ্ট সকলকে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য পাকিস্তানে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যে কোনো ভারতীয় নাগরিক বা ভারতের বিদেশী নাগরিক যিনি পাকিস্তানের কোনো ডিগ্রি কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান, তিনি ভারতে চাকরি বা উচ্চ শিক্ষার জন্য যোগ্য হবেন না। পাকিস্তানে অর্জিত এই ধরণের কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা (যেকোনো বিষয়ের উপর) এদেশে গৃহীত হবে না।"
প্রশ্ন উঠেছে যাঁরা ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে কোন কোর্স করে ফেলেছেন কিংবা সেদেশ থেকে এদেশে এসে নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তাঁদের কী হবে? তাঁদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, অভিবাসী এবং তাঁদের সন্তানরা যাঁরা ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং ভারত সরকার কর্তৃক নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে উপযুক্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পরে ভারতে চাকরির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
ইউজিসির চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার বলেছেন, ইউজিসি এবং এআইসিটিই ভারতীয় ছাত্রদের স্বার্থে এই ধরণের নির্দেশিকা জারি করেছে, যাঁরা দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষা নিতে চায়। তিনি আরও বলেছেন, সাম্প্রতিককালে আমরা দেখেছি যে আমাদের ছাত্ররা তাঁদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশে ফিরে যেতে না পারায় কীভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত।