স্কুল চেয়ে লড়াই সাত বছর ধরে
অবশেষে মিলল অনুমোদন
সবচেয়ে কাছের প্রাইমারি স্কুলটি দেড় কিলোমিটার দূরে৷ কিন্তু সেখানে পৌঁছতে গেলে বাচ্চাদের পার হতে হয় দুটি খাল, বিরাট একটা মাঠ আর বাঁকুড়া–ঝাড়গ্রাম ৯ নম্বর রাজ্য সড়ক৷ ফলে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে স্বস্তি পেতেন না বাঁকুড়ার সারেঙ্গার সাঁইতোড়া গ্রামের অভিাবকরা৷ এতদিনে হাসি ফুটল তাঁদের মুখে৷ বহু অপেক্ষার পরে গ্রামেই প্রাথমিক স্কুল তৈরির অনুমোদন মিলল ২২ ডিসেম্বর৷ মঙ্গলবার হল স্কুলের সূচনা অনুষ্ঠান৷
২০১৩ সাল থেকে সাত বছর ধরে সাঁইতোড়ায় একটা প্রাথমিক স্কুল খোলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছেন সেখানকার মানুষ৷ শিক্ষা দপ্তরের স্তরে স্তরে দফায় দফায় আবেদন করা, স্মারকলিপি দেওয়া, পথ অবরোধ, অবস্থান বিক্ষোভ, ধরনা– কোনও কিছুই বাদ রাখেননি তাঁরা৷ স্কুলবাড়ি তৈরির জন্য ওই গ্রামেরই বাসিন্দা রাধানাথ সনগিরি দান করেছেন এক বিঘা জমি৷ কিন্তু স্কুল তৈরি হয়নি৷ মারা গেছেন রাধানাথ৷ এ দিন স্কুল তৈরির সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সারেঙ্গা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সোনালি মুর্মু৷ তিনি জানিয়েছেন, দান করা ওই জমিতেই তৈরি হবে স্কুল ৷
বাঁকুড়ার স্কুল শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, আপাতত গ্রামের একটি ক্লাবে শুরু হবে পঠন–পাঠন৷ একজন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে৷ করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সব ধরনের সুবিধাই পাবে, মিলবে মিড–ডে মিলও৷
এখন খুশির হাওয়া সাঁইতোড়া গ্রামে৷ বাসিন্দারা জানালেন, গ্রামে প্রাইমারি স্কুলের ৩০ জন শিক্ষার্থী আছে৷ তাদের তো বটেই, এমনকি নতুন স্কুল হওয়ায় সুবিধা পাবে পাশের দেউলি গ্রামের বেশ কিছু ছোট ছেলেমেয়েও৷