সিপিএমের বয়স নীতি অনুসারে মীনাক্ষি সৃজনদের ভবিষ্যত কি? স্পষ্ট করল আলিমুদ্দিন
যুব নেতাদের আপাতত গণসংগঠনেই রাখতে চাইছে সিপিএম
গত কয়েক দিনে সিপিএমের (CPM) অন্দরে সবচেয়ে বেশি চর্চিত বিষয় বয়সের নতুন নীতি। এই নীতি কার্যকর হলে প্রবীণ নেতা বিমান বসু (Biman Bosu) কিংবা সূর্যকান্ত মিশ্রদের (Suryakanta Mishra) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। তাহলে কি সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে কি নবীন প্রজন্মের একঝাঁক তরুণ-তরুণী দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাবেন? সূত্রের খবর, আপাতত সিপিএম এমন কিছু ভাবছেন না। একুশের নির্বাচনে যাঁরা নজর কেড়েছিলেন তাঁদের মাটির কাছাকাছি রাখতে চান। গণসংগঠনের ভিত মজবুত করতে তাঁদের প্রথম সারি থেকে সরিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী নয় আলিমুদ্দিন।
একুশের নির্বাচনে সিপিএমের বেশ কিছু তরুণ-তরুণী প্রচারের আলোকে এসেছিলেন। তাঁদেরকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহ এবং উদ্দীপনা দেখা যায়। সিপিএমের ভাগ্যে শূন্য হলেও এই তরুণ-তরুণীদের একটি বড় অংশের প্রাপ্ত ভোট শতাংশের হার সিপিএমের প্রাপ্ত সার্বিক ভোট শতাংশের হারের তুলনায় বেশ অনেকটাই বেশি। একমাত্র নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিপিএমের প্রধান মুখ মীনাক্ষি মুখার্জির প্রাপ্ত ভোট কম হলেও প্রচারে তিনি যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিলেন। এমনকী সিপিএমের প্রধান মুখ হয়ে তিনি রাজ্য জুড়ে প্রচার করেছিলেন। সিপিএমের নয়া বয়স নীতি অনুসারে এই মীনাক্ষি মুখার্জি, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতীক উর রহমান প্রমুখ যুব নেতাদের বড় কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই এই তরুণ তুর্কিদের গণসংগঠনের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না। তবে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অতীতে ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় কিংবা ব্রতীন সেনগুপ্তের দ্রুত উত্থানের পর কী পরিণতি হয়েছিল, সেদিকে খেয়াল রেখেই এমন সিদ্ধান্ত জানা গেছে।
সূত্রের খবর, সিপিএমের তিন উল্লেখযোগ্য যুবনেতা সৃজন ভট্টাচার্য, মীনাক্ষি মুখার্জি এবং প্রতীক উর রহমান যে যে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা পূর্বের সেই দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁদের বাড়তি কিছু দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে এখনই গণসংগঠনের হাল তাঁদের থেকে সরিয়ে নেওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। একমাত্র যুব সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রের অব্যাহতি প্রায় নিশ্চিত। তাঁকে রাজ্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাতে হতে পারে। উল্লেখ্য, আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে সিপিএমের শাখা স্তরের সম্মেলন। জেলাস্তরের সম্মেলনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। নদিয়ার নবদ্বীপে ছাত্র, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে যুব, হাওড়া গ্রামীণে কৃষক এবং পশ্চিম বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক ফ্রন্টের রাজ্য সম্মেলন হবে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। তবে বেশ কিছু পদে সামান্য অদল-বদল হলেও যুব নেতৃত্বদের এখনই সরিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী নয় আলিমুদ্দিন।