বালি পাচার কমাতে উদ্যোগী রাজ্য প্রশাসন, লিজ দেওয়া বালি খাদান চিহ্নিতকরণ শুরু পশ্চিম মেদিনীপুরে
জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার অভিযোগের পর তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ প্রশাসন
অবৈধ বালি পাচারের সমস্যা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য এবারে উদ্যোগী হলো পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন। সরকারের তরফ থেকে দীর্ঘ দিনের জন্য জেলার 86 টি বালি খাদান লিজ দেওয়া রয়েছে। তাই এবারে ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তর এর তরফ থেকে এই সমস্ত বালি খাদান এর সীমানা মেপে নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত বালি খাদান এর সীমানা মেপে নিয়ে সেগুলিকে বাঁশ দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করে দিয়েছে ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তর। লিজ নেওয়া জমিতে যেন নিয়ম মেনে বালি উত্তোলন করা হয় এবং , বালি খাদান এর বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখা হয় সেই জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তর এর অতিরিক্ত জেলা শাসক বলেছেন, সমস্ত বালি খাদানে নজরদারি চালানোর জন্য এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এই এলাকার বেআইনি বালি খাদান গুলির ব্যাপারে সরব হয়ে উঠেছিলেন। তিনি নিজের দায়িত্ব নিয়ে বেআইনি বালি খাদান এর বিরুদ্ধে নিজের মতামত গড়ে তুলেছিলেন। সমস্ত ব্লক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বেআইনি বালি খাদানগুলিকে নিয়ে চিন্তা জাহির করেছিলেন মানস ভুঁইয়া। তারপরেই পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফ থেকে বেআইনি বালিখাদান এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক এবং গ্রেফতার করা হয়েছে এই মামলায়। তার সঙ্গে পুলিশ নজর রাখছে যেন কোনোভাবেই অনুমোদন প্রাপ্ত বালি খাদান এর মালিকদের কোন রকম সমস্যা না হয়।