গভীর নিম্নচাপের জেরে প্রবল বিপদের মুখে পশ্চিমবঙ্গ, কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে প্রশাসন?
প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা করে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার
রবিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত।বাংলার একাধিক জায়গায় বর্তমানে প্লাবন দেখা দিয়েছে। দুর্গাপুজোর দশমীর দিন থেকেই বৃষ্টিপাত হালকা হালকা শুরু হয়েছিল। তার মধ্যে সোমবার এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে গভীর নিম্নচাপের জেরে আগামী তিন দিন প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আরো আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে রাজ্য প্রশাসন।
নদী এবং সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বর্ষণের কারণে। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একাধিক অঞ্চল যেমন ক্যানিং, বাসন্তী এবং গোসাবা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে এবং নদী তীরবর্তী এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে সতর্কতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের বর্তমানে সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যে সমস্ত মৎস্যজীবী এখন গভীর সমুদ্রে রয়েছেন তাদেরকে দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার সাথে সাথেই সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক সতর্কতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের অপেক্ষাকৃত অংশ এলাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারী দলের প্রতিনিধিরা।
পূর্ব মেদিনীপুরের শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমনির মতো বিভিন্ন নিচু জায়গাগুলো থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গা যেমন রামনগর এবং খেজুরি এলাকায় নিয়ে যাবার সম্পূর্ণ পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। রামনগর এবং খেজুরি এলাকার তিনটি ব্লকে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বিভিন্ন এলাকায় ত্রিপল এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিকেলের পর সমুদ্রের ধারে কাছে থাকতে দেওয়া হচ্ছেনা পর্যটকদের। সারাদিন মাইকিং করা হচ্ছে। সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে সমুদ্র উপকূল এর আশেপাশে থাকা মানুষদের। অন্যদিকে, পটাশপুর, ভগবানপুর এবং এগরার মতো বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আগের অতিবৃষ্টিতে। এখন সেই সমস্ত এলাকায় জল নেমে গেলেও, আবারো পরিস্থিতি খারাপ হবার সম্ভাবনা আছে। নতুন করে বৃষ্টিতে যদি আবার ওই এলাকা প্লাবিত হয় তাহলে আর বিপদের মুখে পড়বে রাজ্য প্রশাসন। এই কারণেই বন্যার্তদের পুনরায় উঁচু জায়গায় নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ত্রিপল এবং শুকনো খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করছে রাজ্য প্রশাসন।