পুরভোটে আস্থা রাজ্য পুলিশের ওপরই, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নাকচ করল নির্বাচন কমিশন
কলকাতা পুরসভায় ১৪৪টি ওয়ার্ডে ৪৭০০ বুথে এবং হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডে ১২১৩টি বুথে নির্বাচন রয়েছে
আসন্ন কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধীপক্ষ বিজেপি। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা দেখালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শনিবার দুই পুর এলাকায় ভোট পরিচালনার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠকে করেছে কমিশন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ, এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামীম ও কমিশনের একাধিক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী। সেই বৈঠকেই আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের নীলনকশা তৈরি হয় এবং সেখানে ঘোষণা করা হয় যে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই কলকাতা এবং হাওড়ায় ভোটগ্রহণ হবে।
কলকাতা পুরসভায় ১৪৪টি ওয়ার্ডে মোট বুথের সংখ্যা ৪৭০০ এবং হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডে মোট ১২১৩টি বুথ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছে যে প্রত্যেকটি বুথের নিরাপত্তায় একাধিক সশস্ত্র বাহিনী থাকবে। কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিশন রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেবে যে ঠিক কত সংখ্যক পুলিশ বাহিনী তাদের সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজন হবে। তবে বিজেপির পুরসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা প্রসঙ্গে কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, "পুরসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নজিরবিহীন ঘটনা। সব রাজ্যেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ বাহিনী দিয়ে পুরসভা নির্বাচন সঞ্চালিত হয়। বাংলাতেও সবসময় পুরসভা নির্বাচনে রাজ্যের পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা দেয়।"
এছাড়া আজকের বৈঠকে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা, কোভিড বিধি, ভোটকর্মী, বুথের পরিকাঠামো-সহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। এই করোনা পরিস্থিতিতে এখন থেকে প্রতিদিন ভোটের এলাকাতে করোনা পজিটিভিটি রেট পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া নির্বাচন সঞ্চালনার জন্য সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৭ নভেম্বর ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট জারি করবে কমিশন।