অবশেষে পিছিয়ে গেল পরীক্ষা, নার্সিং কাউন্সিলের ঘোষণায় স্বস্তিতে জিএনএম নার্সিং পড়ুয়ারা
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল জানিয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের দাবি মেনে নিয়ে এই মুহূর্তে জিএনএম নার্সিং পড়ুয়াদের অফলাইন পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে
করোনাভাইরাস (Coronavirus) পরিস্থিতিতে অফলাইন পরীক্ষা নিয়ে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই চিন্তায় ছিলেন জিএনএম (GNM) নার্সিং পরীক্ষার্থীরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল এবং পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি থাকলেও জিএনএম নার্সিং এর ফাইনাল পরীক্ষা অফলাইনে গ্রহণ করা হবে এবং তার সময় সূচিতে কোন রকম পরিবর্তন হবে না। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে গতকাল ফেসবুক লাইভ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জি এন এম নার্সিং পড়ুয়ারা।
তাদের দাবি ছিল, বিএসসি, এমএসসি, এর মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যেখানে দেরি করে অনলাইনে গ্রহণ করা হচ্ছে, এবং এমবিবিএস এবং বিএসসি নার্সিং এর মত পরীক্ষা যেখানে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে জিএনএম নার্সিং পড়ুয়াদের পরীক্ষা কেন অফলাইনে নেওয়া হচ্ছে তাও আবার এই পরিস্থিতিতে। তাদের দাবি ছিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের পরীক্ষা যাতে কিছু দিন অন্তত পিছিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল ফেসবুকে এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজেদের দাবি সামনে রাখার পরেও যখন পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল এর তরফ থেকে কোনরকম ঘোষণা করা হলো না, তখন পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলেন জিএনএম নার্সিং পড়ুয়ারা।
সূত্রের খবর, আজ সকালে জিএনএম নার্সিং পড়ুয়াদের একটি দল এগারোটা নাগাদ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করে। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে দীর্ঘক্ষন অবস্থান-বিক্ষোভ এ বসে জিএনএম নার্সিং পড়ুয়ারা। অবশেষে তাদের দাবি মেনে নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তাদের পরীক্ষা কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল ওয়েস্ট বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল এবং পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ ঘোষণা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষার পনেরো দিন আগে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার এই ঘোষণায় স্বভাবতই খুশি পরীক্ষার্থীরা।