দিঘার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যেতে চান? জেনে নিন নয়া নিয়ম-কানুন
দিঘা সফরে লাগছে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট
দিঘা, (Digha) শঙ্করপুর, (Sankarpur) মন্দারমণি কিংবা তাজপুরে বেড়াতে যেতে চান? সঙ্গে কি কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট কিংবা কোভিডের দু'টি ডোজ নেওয়ার শংসাপত্র আছে? যদি না থাকে তাহলে পূর্ব মেদিনীপুরের এই সমুদ্র সৈকত গুলিতে মিলছে না কোন হোটেল কিংবা লজ।
সোমবার রথযাত্রার দিন থেকেই জেলা প্রশাসনের তরফে এমন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এবার থেকে এই সমস্ত স্থানে বেড়াতে যেতে হলে বাধ্যতামূলক ভাবে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট কিংবা কোভিড টিকার দু'টি ডোজের শংসাপত্র থাকতে হবে। তা নাহলে কোন হোটেল রুম মিলবে না। কিন্তু এই নির্দেশিকা জারির পরই সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এমন বিধি-নিষেধ থাকলে তো বেড়াতে যাওয়া মুশকিল। সোমবার এই নিয়ম জারি হওয়ার পরই মঙ্গলবার থেকেই দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর প্রায় পর্যটকশূন্য। এতে চিন্তায় পড়েছেন হোটেল মালিকরা। এমনিতেই লকডাউনে তাঁদের ব্যবসার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। যদিও কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর একটু লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছিল ব্যবসায়ীরা, তবে এই নতুন বিধি-নিষেধে তা-ও মাটি হতে বসেছে বলে দাবি অধিকাংশ হোটেল মালিকের।
কলকাতার পাটুলি থেকে সপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলেন অরিন্দম সরকার। তিনি বলেছেন, "পরিবারের বয়স্কদের কোভিডের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হলেও আমরা এখনও পাইনি। পাশাপাশি এত দূর থেকে এখানে চলে এসে যদি এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়, তাহলে তো আসা মুশকিল। বরং দিঘাতেই যদি কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আমাদের জন্য খুবই ভাল হয়।" দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের দাবি, প্রশাসনের এই নয়া নিয়মে দিঘার পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনিতেই ইয়াসে তো ক্ষতি হয়েইছে, তার উপর এমন চলতে থাকলে আরও বড়সড় ক্ষতির মুখোমুখি হবে দিঘার পর্যটন শিল্প। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের উদ্যোগে দিঘাতেই কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায়। তাহলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
উল্লেখ্য, প্রশাসনের তরফে সবুজ সংকেত মিলেছে। বুধবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত পর্যটকদের নমুনা পরীক্ষা হবে। দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফিস এবং একটি স্থানীয় হেল্থ সেন্টারে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোভিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই মিলবে রিপোর্ট। এক্ষেত্রে রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই দিঘায় বেড়ানোর ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না। তবে করোনার সমস্ত বিধি-নিষেধ কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।