উর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ, বন্ধ হল রাজ্যের একাধিক হাট-বাজার
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৮০২
রাজ্যে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ (Covid19)। বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। গতকাল রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। একই ছবি আজও। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,৮০২ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। এই পরিস্থিতিতে বাদ নেই ঝাড়গ্রাম (Jhargram)। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, গতকাল ঝাড়গ্রামে সংক্রামিতের সংখ্যা ৯৯ জন। কলকাতাবাসীর কাছে এই সংখ্যাটা কম লাগলেও, সংক্রামিতের সংখ্যা একশো না পেরোতেই শক্ত হাতে হাল ধরতে চাইছে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন।
সংক্রমণ রুখতে এবার গোটা ঝাড়গ্রামে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করল প্রশাসন। সূত্রের খবর, ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তদের সিংহভাগই প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা। তাই সংক্রমণ রুখতে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন অফিস প্রতি সপ্তাহের শনিবার, সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি এলাকাকে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।
একই চিত্র শহরের অন্যত্র। সপ্তাহে তিনদিন বন্ধ নাগেরবাজার সংলগ্ন সব্জি বাজার। একই ভাবে তিন দিন বন্ধ ব্যারাকপুর বাজার। অন্যদিকে বর্ধমানে জোড়-বিজোড়ের হিসেব করে চলছে বাজার, রবিবার পুরোপুরিই বন্ধ। একইসঙ্গে মালবাজারে বন্ধ হাট। হাওড়াতেও বন্ধ মঙ্গলাহাট। কলকাতা পুরনিগম এলাকায় বর্তমানে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা রয়েছে ৫০ টি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের কোভিড গ্রাফ সামান্য ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৮০২ , মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩৩৭ । গতকালের তুলনায় কিছুটা কমেছে কলকাতার আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষেই রয়েছে কলকাতা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম বর্ধমান।