ফের বেকারত্বের বেহাল চিত্র, ১২ টি শূন্যপদে কয়েক হাজার আবেদনপত্র
চতুর্থ শ্রেণির পদে আবেদন এমএ, বি.এড থেকে শুরু করে এমবিএ পাশও
মাস দুয়েক আগে এনআরএসে ৬ টি ডোম পদে (অস্থায়ী) আবেদন জমা পড়েছিল প্রায় ৮ হাজার। আবেদনকারীর মধ্যে প্রায় ২ হাজারের বেশি স্নাতক, ছিলেন ৫০০-র বেশি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এমন কী ডোম হতে চেয়ে ১০০ বেশি ইঞ্জিনিয়ার আবেদন করেছিলেন। প্রকাশ পেয়েছিল রাজ্যের বেকারত্বের বেহাল চিত্র। ফের আবারও তেমনই এক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
এবার জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে ১২ টি চতুর্থ শ্রেণির শূন্যপদে কর্মী নিয়োগে আবেদনপত্র জমা পড়ে প্রায় কয়েক হাজার। এম.এ, বিএডের পাশাপাশি এমন কী ছিলেন এমবিএ, বিবিএ উত্তীর্ণরাও। আর বেশিরভাগ তো ছিলেন স্নাতক পাশ। রবিবার শহরের ৬ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়মমাফিক পরীক্ষাও হল। প্রায় ১৫ হাজার ১৩ জন পরীক্ষার্থী এই ৬ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিলেন বলে খবর। কেবল কি উত্তরবঙ্গের পরীক্ষার্থী? দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও অনেকেই পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন বলে সূত্রের খবর।
এম.এম, বি.এড পাশ এক পরীক্ষার্থীর কথায়, কী আর করা যায়, রাজ্যে তো কোন পরীক্ষাই হচ্ছে না। দীর্ঘদিন এসএসসি বন্ধ। বি.এড করে বেশ কয়েক বছর বসে আছি। পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগই পেলাম না। আর এইভাবে কতদিন বসে থাকা যায়। মনে হল এই পরীক্ষাটিই দিই। তাই বলে চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষায়? এ প্রশ্নের উত্তরে সেই পরীক্ষার্থীর জবাব, "আর চতুর্থ শ্রেণি? একটা চাকরি পেলে বাঁচতে পারি। আমাদের মতো পড়াশোনা করা শিক্ষিত বেকাররা কী অবস্থায় আছি, তা কেবল আমরাই জানি।" আর এক পরীক্ষার্থীর কথায়, "চাকরি না পেয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট সংস্থায় কাজ করেছি। ঠিক মতো মাইনে পাইনি। আর এই লকডাউনে সে কাজটিও চলে গেল। এখন বেকার হয়ে বসে আছি। পরীক্ষা দিতে এসেছি। সুযোগ পাব কী না জানি না। তারপরও সরকারি চাকরি তো!"