আন্দোলনমুখর বিশ্বভারতী
বিক্ষুব্ধ উপাচার্য, ছাত্র সংগঠন ও বস্ত্র ব্যবসায়ীরা
একের পর এক নানা প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে অশান্তি যেন পিছু ছাড়ছেনা বিশ্বভারতীর। আজ সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় উপাচার্য ও অধ্যাপকরা অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিলে পাল্টা বাম ছাত্র সংগঠনও বিক্ষোভ দেখায় রবিঠাকুরের প্রাঙ্গণকে রাজনৈতিকতার কেন্দ্র বানানো, বিশেষভাবে গৈরিকীকরণের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে পৌষমেলার টাকা লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানায় ব্যবসায়ী সমিতিও।
সকাল ৯ টা নাগাদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, অন্যান্য অধ্যাপক ও কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভ জানান। তাদের দাবি, কালীসায়র থেকে উপাসনা গৃহ অবধি রাস্তাটি ২০১৭ তে বিশ্বভারতীকে দেওয়া হয়, তারপর থেকে ওই রাস্তা ব্যবহারে অনেক বিধিনিষেধ আরোপ হয় ও বেশ কয়েকমাস আগেই তা বন্ধ করে ব্যারিগেড তোলা হয়। শেষমেশ ২৮ শে ডিসেম্বর ওই রাস্তা সরকার ফিরিয়ে নিয়ে পূর্ত দফতরকে দিয়ে দেন। তাই এখন ওই রাস্তার দাবিতে অবস্থান করেন তারা।
অন্যদিকে ছাতিমতলার কাছে উপাচার্যের অবস্থানের বদলা হিসেবে বাম ছাত্র সংগঠনও তার বিরোধিতায় সরব হয়। রবিঠাকুরের প্রাঙ্গণে গেরুয়া রঙের রাজনৈতিকতা চলছে, এমন আক্রোশেই তার তীব্র প্রতিবাদে মুখর হন তারা। কর্মীরাও কিছুক্ষণ আটকে পড়েন বিক্ষোভের মুখে। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা সামাল দেন।
উপাসনাগৃহে এদিন আন্দোলন করেন ব্যবসায়ী সমিতি। পৌষমেলায় যে টাকা তাদের ফিরিয়ে দেবার কথা ছিল তা এখনো ফেরায়নি কর্তৃপক্ষ। করোনা আবহে পৌষমেলা বাতিল হওয়ায় যে ব্যপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা, তার এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।