তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য, শিশুদের বাঁচাতে নয়া উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর
মনে করা হচ্ছে সেপ্টেম্বরেই শিশুদের করোনা টিকা বাজারে আসবে
করোনার (COVID-19) দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্যে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের করোনা বুলেটিন অনুসারে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮৫২। পুরুলিয়ায় আক্রান্ত মাত্র ৩, মুর্শিদাবাদে ৮, মালদায় ১০, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১১, আলিপুরদুয়ারে ২২। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ২০৭, কলকাতায় ১৭২। তবে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ রুখতে আগেভাগে পরিকল্পনা সেরে রাখছে রাজ্য। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাদের দিকে। আর সেই কারণেই বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের সংক্রমণ ঠেকাতে মায়েদের টিকাকরণে জোর দেওয়া হোক।
তিনি আরও বলেন, "রাজ্যে সংক্রমণ অনেকটা কমেছে। কোথাও কোথাও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র নিচে নেমেছে। পজিটিভিটি রেট কমে আনা হয়েছে ৩.৬১। সংক্রমণে লাগাম পরাতে ২৫০-র বেশি কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। তবে তৃতীয় ঢেউ আসছে। ১২ বছর বয়সী শিশুরা মায়েদের সঙ্গে থাকে। মায়েরাই তাদের দেখভাল করে। যাতে মায়েদের থেকে শিশুদের করোনা না ছড়ায় তাই এবার মায়েদের গুরুত্ব দিয়ে টিকাকরণ করা হবে।”
আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই দেশে করোনা ভাইরাসের থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়বে দেশে এমনই দাবি করা হয়েছে। এই সংক্রমণের ঢেউতে প্রভাব পড়তে পারে শিশুদের উপর, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এদিকে আজকেই বিশেষজ্ঞদের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের টিকা আসতে আর বেশি দেরি নেই। মনে করা হচ্ছে সেপ্টেম্বরেই শিশুদের করোনা টিকা বাজারে আসবে। এমনই আশার কথা শুনিয়েছেন আইসিএমআর প্রধান ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, "দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হলেই শিশুদের উপর কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে।"
প্রসঙ্গত, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে শিশুদের জন্য নির্ধারিত শয্যার সংখ্যা বাড়ল। সদ্যজাতদের জন্য আইসিইউ শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩০০ করার ঘোষণা করা হল। এবং এসএনসিইউ শয্যার সংখ্যা বাড়িয়ে করা হবে ৩৫০। তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে শিশুদের জন্যে জেনারেল শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হচ্ছে বলেও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি শিশুদের বিপদের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই কলকাতায় শুরু হয়েছে শিশুদের জন্য সেফ হোম।