আড়াই ঘণ্টার সওয়ালে শেষ হল না নারদ মামলার শুনানি, মামলা গড়াল আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত
আগামীকাল পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ
নারদ মামলার শুনানি শেষ হল না। ৪ নেতা-মন্ত্রীর জামিনের স্থগিতাদেশ নিয়ে কোন সমাধান সূত্র বেরোল না। ফের আগামীকাল দুপুরে শুনানির কথা জানাল আদালত।
নারদ মামলায় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরব ছিল হাইকোর্ট। নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা দুয়েক পর শুরু হয় মামলার শুনানি। ৪ অভিযুক্তের পক্ষে ছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, সিদ্ধার্থ লুথরা ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে সিবিআইয়ের পক্ষে সওয়াল করেন তুষার মেহতা। মামলার শুরুতে অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। তিনি জানান, অভিযুক্তদের সিবিআই হেফাজতে দিয়ে তদন্তের সুযোগ দেওয়া হোক। এ কথার উত্তরে পাল্টা অভিযোগ করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি জানান, বিনা নোটিশে গ্রেফতার করা যায় না। আর অন্তর্বর্তী জামিনের উপর এভাবে মামলা হয়নি। এ কথার পর সিবিআই পক্ষের আইনজীবী বুমেরাং করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী কোন অনুমতি ছাড়া গিয়েছিলেন কেন?
অভিযুক্তদের পক্ষে আদালতে জানানো হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান মানুষকে এভাবে আটকে রাখা যায় না। পাশাপাশি বলা হয় কোভিড বিধি ভঙ্গের অজুহাতে এইভাবে মামলাকে সরিয়ে নেওয়া যায় না। সিবিআই পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, প্রভাবশালীদের আড়াল করতে এই মামলায় আইনের ক্ষতি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী মামলায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন। এইভাবে এক সরকারি অফিসে ৫-৬ ঘণ্টা বসে থেকে 'পরিকল্পিত' ভাবে মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
শুনানিতে শুভেন্দু অধিকারীর এবং মুকুল রায়ের নামও আসে। অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল আসে তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁদের দাবি, বিজেপির এই দুই নেতা-সহ তৃণমূলের সাংসদ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও কোনওরকম পদক্ষেপ করার অনুমতি তারা পায়নি। দু'পক্ষের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে মামলার রায়দান করা সম্ভব হয়নি। আগামীকাল দুপুরে ফের শুনানির কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আড়াই ঘণ্টার শুনানিতেও মিলল না কোন ফল।