নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়! টাকার বিনিময়ে চাকরি করছেন বাংলাদেশীরাও
নিয়োগ দুর্নীতির পর্দাফাঁস! চাকরি করছেন বাংলাদেশের যুবক-যুবতীও
যতদিন এগোচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। টাকার বিনিময়ে বসতে হয়নি লিখিত পরীক্ষাতে, এমনকী কোন পরীক্ষাই না দিয়ে সরাসরি চাকরির অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেকেই জমা দিয়েছেন ফাঁকা খাতা। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে সেগুলোর রফা হয়েছে। পরে কোন অদৃশ্য হাত সেই ফাঁকা খাতা পূর্ণ করে দিয়েছে। আর পরীক্ষায় রেকর্ড মার্কস। তখন কেই-বা আটকায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে এমনই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে। এবার প্রকাশ্যে এল আরও গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ।
নিয়োগ দুর্নীতিতে 'মিডলম্যান' হিসেবে কাজ করতেন প্রসন্ন কুমার রায় ওরফে পি কে রায়। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি নাকি চাকরি দিতেন। এমনকী তার হাতযশে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশী যুবক-যুবতীরা ভারতে এসে চাকরি করছে। তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে। গোয়েন্দাদের অভিমত, 'বিশ্বাস' নামের একজন বাংলাদেশের এজেন্ট এই কাজে মিডলম্যান প্রসন্ন কুমার রায়কে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের কাছ থেকে নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তাদের ধাপে ধাপে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
কীভাবে এ কাজ সম্ভব হল? সূত্র মারফত খবর, বসিরহাট-সহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে এদেশে এসেছে সেইসব অনুপ্রবেশকারী। তারপর টাকার বিনিময়ে তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এখানে এসে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে চাকরি করছেন। বৈধ পরীক্ষা দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। এই গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন কুমার রায়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। তিনিই বাংলাদেশের এজেন্টের সহায়তায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই কাজ করেছেন, অভিযোগ তেমনটাই।
প্রথমে ভারতে এসে তাদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হত। তারপর টেটের অ্যাডমিড, টেট পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করানো হত। পরে নিশ্চিত চাকরি অর্থের বিনিময়ে। গোটা প্রক্রিয়াটি চলত প্রসন্নের সল্টলেকের অফিসে। এমনকী এই অফিস থেকে নারী পাচারের চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ থেকে কর্মবয়সী মেয়েদের নিয়ে এসে ভারতের বিভিন্ন শহরে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।