অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে ৫ তলা থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা পড়ুয়ার
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকদল আন্দোলনরত পড়ুয়া অনশনে বসেছে
অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে উত্তাল ছাত্রসমাজ। শুক্রবার এক পড়ুয়ার আত্মহত্যার প্রচেষ্টার কারণে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ ওই ছাত্র উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের ছাদে উঠে ঝাঁপ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। যদিও মুহুর্তের তৎপরতায় পুলিশ গিয়ে ছাত্রটিকে বড় বিপদ থেকে উদ্ধার করে।
এরপর থেকেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত অনশনে বসেছে ছাত্রদল। এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ছ'মাসের সিলেবাস প্রফেসাররা দুমাস পঠনপাঠন করিয়ে কভার করার চেষ্টা করেছে, যারমধ্যে একমাস আবার অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। বাকি একমাস তারা কলেজে এলেও ফ্রেশার্স, ফেয়ারওয়েল জাতীয় বাহ্যিক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের চোটে পড়াশোনাটা আর করা হয়ে ওঠেনি তাদের।
ছাত্রদের দাবি, "বৃহস্পতিবারও ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছিলেন৷ সন্ধ্যাবেলা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়৷ এরপরই ছাত্ররা শান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যান৷ রাতে উপাচার্য ফের একটা নোটিশ ইস্যু করেন, যেখানে বলা হয়, অফলাইনেই পরীক্ষা হবে৷ তাতেই তাঁরা এদিন আবারও প্রতিবাদের পথে উত্তীর্ণ হয়।" অন্য এক ছাত্রের কথায়, "রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ডিক্লেয়ার করেছে, যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, স্টেট ইউনিভার্সিটি। আমাদের কলেজ কি এতই হোতা যে ছাত্রদের সমস্যার কথা না শুনে অফলাইনে পরীক্ষার কথা ভাবছে। তারা যদি আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এতই চিন্তিত তবে পড়ানোর দায়িত্বটাতো ঠিকমতো পালন করতে পারতো।" বলা বাহুল্য, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন ছাত্রে ছাত্রে ছয়লাপ হয়ে রয়েছে। সরাসরি তারা ভাইস চ্যান্সেলরকে দুষছেন। তবে কি শেষপর্যন্ত স্টুডেন্ট পাওয়ারের কাছে ঝুঁকতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে?