আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের হাঁস-মুরগির বাচ্চা দেবে রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 04/08/2020   শেষ আপডেট: 05/08/2020 1:26 p.m.
Unsplash

রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে আমফানে যেসব হাঁস-মুরগি পালকদের হাঁস-মুরগি মারা গিয়েছে তাদের জন্য এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে

আমফানে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকার যে ক্ষয়-ক্ষতি করেছে সেই ক্ষত নিরাময়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি। ঠিক তেমনি রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর আমফানে যেসব হাঁস-মুরগি পালকদের হাঁস-মুরগি মারা গিয়েছে তাদের নতুন করে হাঁস-মুরগির বাচ্চা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২৮ দিন বয়েসী বাচ্চা ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হবে এবং এর জন্য সরকারের খরচ হবে প্রায় ৬ কোটি টাকা। প্রথমে হাঁসের বাচ্চা বিলি শুরু হবে ৩ রা অগাস্ট থেকে এবং ২৮ শে অগাস্ট থেকে মুরগির বাচ্চা দেওয়া হবে। ঝড়ে মূলত পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর, গোসাবা সহ উপকূলবর্তী এলাকার একাধিক জায়গায় বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর সূত্রে খবর, জেলায় মোট ৭ লক্ষ মুরগি ও হাঁসের বাচ্চা বিলি করা হবে। তার ম‍ধ‍্যে ১৭,১১৭ জন মুরগির বাচ্চা পাবেন, ৭২১৫ জন পাবেন হাঁসের বাচ্চা এবং ৫৭২ স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে শুধু মুরগির বাচ্চা দেয়া হবে। যেসব ক্ষতিগ্রস্তদের হাঁস-মারা গেছে তাদের ২০ টি করে বাচ্চা দেওয়া হবে। তার সঙ্গে দেওয়া হবে এক মাসের খাবার। যেমন মুরগির বাচ্চার জন্য মাসে ১.২ কেজি ও হাঁসের ছানার জন্য দেয়া হবে ৩ কেজি করে খাবার। প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ক্ষতিগ্রস্তদের একটি হোক বা পঞ্চাশটি প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্থকে ২০ টি করে হাঁস-মুরগির বাচ্চাই দেওয়া হবে। কোনো রকম বৈষম্য যাতে না হয় তার জন্য এই সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ৫০ টি করে মুরগির বাচ্চা ও তাদের একমাসের খাবার দেওয়া হবে। সূত্রে খবর সোনারপুর, গোসাবা, সাগর সহ রাজ্যের একাধিক জায়গার ১৩ টি মহিলা দল আছে যারা জন্ম থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত বড় করে তোলে। এই বড় করে তোলার খরচ সেই মহিলা গোষ্ঠীগুলিই বহন করে। সরকার তাদের থেকে বাচ্চা গুলি কিনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্লকে বন্টন করবে। যে দামে সরকার মহিলা গোষ্ঠীর থেকে বাচ্চাগুলি কিনবে তাতে লাভবান হবে মহিলা গোষ্ঠী গুলিও।