কালী পূজার প্রতিমা বিসর্জনের সময় বেঁধে দিল রাজ্য সরকার, তার সঙ্গেই নতুন বেশকিছু নির্দেশিকা
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রতিমা বিসর্জনের সময় নির্দিষ্ট করা ছাড়াও বিভিন্ন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে আজকের ঘোষণায়
কালিপুজোর সময় প্রতিমা বিসর্জন এর সময়সীমা বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার কালীপুজো হওয়ার পাশাপাশি আগামী ১৩ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজোর নির্ঘণ্ট। দুটি পূজার ক্ষেত্রে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তার পাশাপাশি পুজোর সময় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হারানোর জন্য রাজ্যজুড়ে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। শনিবার এই ধরনের একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
শনিবার নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী ৫ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে কালী পূজার প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে। জগদ্ধাত্রী পূজার প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সময় থাকবে ১৪ এবং ১৫ নভেম্বর। কালীপূজার উৎসবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং জঙ্গিগোষ্ঠীর সমস্ত ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। নিরাপত্তা প্রয়োজনে বড় বড় পুজো মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দপ্তর। তার পাশাপাশি স্পর্শকাতর এলাকায় সমাজবিরোধী বলে পরিচিতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং শান্তি বজায় রাখতে স্থানীয় স্তরে কমিটি গঠন করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কথা জানানো হয়েছে।
জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। তার পাশাপাশি, উৎসবে দিনগুলিতে যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি না হয় সেজন্য করোনাভাইরাস বিধি নিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। ইতিমধ্যেই আসন্ন কালীপূজায় বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, বেরিয়াম লবণ দিয়ে তৈরি যেকোনো ধরনের বাজি তৈরি এবং পোড়ানো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। তার সঙ্গেই আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।