খুন নয়! ১৪৪ দিনের মাথায় আনিস মামলায় চার্জশিট পেশ সিটের
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রাতে আনিসের বাড়িতে পুলিশ হানা দেওয়ার সময় এই অঘটনটি ঘটে
খুন নয়, ছাদ থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রনেতা আনিস খানের, ঠিক এমনটাই জানিয়েছে সিট। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ১৪৪ দিনের মাথায় উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে মামলার চার্জশিট পেশ করল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্ণাটকের হিজাব-বিতর্ক ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন আনিস। সেই ঘটনার তদন্ত করতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রাতে আনিসের বাড়ি হানা দিয়েছিল পুলিশ। তখনই ওই অঘটনটি ঘটে।
খুনের অভিযোগ খারিজ করা হলেও সেদিন রাতে পুলিশের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে চার্জশিটে। সেখানে নাম রয়েছে আমতা থানার তৎকালীন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী-সহ ৫ পুলিশকর্মীর নাম। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন এএসআই, একজন হোম গার্ড এবং দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনার রাতে আমতা থানার ওসি পুরো বিষয়টি জানতেন বলেই অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, চার্জশিটে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২ অর্থাৎ খুনের ধারা থাকছে না। তবে ৩০৪ ধারা অর্থাৎ গাফিলতির জেরে মৃত্যুর কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও চার্জশিটে থাকছে ৩৪১ (অবৈধভাবে পথ আটকানো), ৩৪২ (অবৈধভাবে আটকে রাখা), ৪৫২ (জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে আটকে রাখা) এবং ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারা। উল্লেখ্য, আনিসের মৃত্যুর পরপরই তাঁর পরিবারের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং একজন হোমগার্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যদিও পরে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তাঁরা।
প্রথম থেকেই আনিসের পরিবার এই ঘটনাকে পরিকল্পিত খুন বলে দাবি জানিয়ে এসেছে। ছাত্রনেতার মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। আনিসের দাদার অভিযোগ ছিল, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। প্রথম থেকেই আনিসের বাবা সালেম খান এবং আনিসের পরিবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছিল। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা আনিসের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে তদন্তভার সিটের উপরই দিয়েছিলেন।