দশ দিনে সাত চুরি, চরম আতঙ্ক জগতবল্লভপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 09/09/2021   শেষ আপডেট: 09/09/2021 3:27 p.m.

মা কালীর মন্দির পর্যন্ত রেহাই পায়নি চোরেদের হাত থেকে

হাওড়ার জগতবল্লভপুরের বড়গাছিয়া এলাকায় দশ দিনের মধ্যে ঘটল সাতটি চুরির ঘটনা। যার জেরে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কেবল মিষ্টি বা মুদিখানার দোকানেই নয়, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িও চুরি করেছে চোরের দল। এমনকি চোরদের হাত থেকে মা কালীর মন্দির পর্যন্ত রেহাই পায়নি। চুরির ঘটনা ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরাতেও। চুরির দায়ে এখনও পর্যন্ত একজনকেই আটক করতে পেরেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে।

খবর পাওয়া গেছিল দিনকয়েক আগে। জানা গেছিল, জগতবল্লভপুরের বড়গাছিয়া সন্ধ্যাবাজার এলাকায় একের পর এক দোকানে ঘটছে চুরির ঘটনা। চোরের হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না মিষ্টির দোকান থেকে ষ্টেশনারী দোকান কোনোকিছুই। রাতের অন্ধকারে দোকানের টালি সরিয়ে বা তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে টাকাপয়সা, দামি জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এর মাঝেই খবর পাওয়া যায়, সেখানের এক কালীমন্দিরেও নাকি তালা ভেঙে ঢুকে মায়ের গয়নাগাটি, বাসনপত্র চুরি করেছে চোরের দল। দোকান, মন্দির ছেড়ে দুদিন আগে এলাকা থেকে একটি ছোটো ম্যাটারোর গাড়ি পর্যন্ত চুরি তারা।

এলাকায় সিসি ক্যামেরা থাকায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা তাতে ধরা পড়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। সেই সুত্র ধরেই হাটাল এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের তল্লাশি চলছে।

এদিকে পর পর চুরির ঘটনায় ঘুম উড়েছে স্থানীয় ছোটো ব্যবসায়ী থেকে এলাকার বাসিন্দাদের। একেই লকডাউনের কারনে অর্থনৈতিক মন্দা। তার উপর এরম ঘটনা! স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারনা, এই চুরির ‘সিরিজের’ নেপথ্যে রয়েছে কোনও বড় গ্যাং। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, কোনও সংগঠিত গ্যাং নয়, চুরির পিছনে আছে ছিঁচকে চোরেদের হাত। ইতিমধ্যেই চোর ধরার জন্য পাতা হয়েছে ফাঁদ। এখন দেখার, চোরের দল কবে সেই ফাঁদে পা দেয়!