বৈঠকে বসলেন রাশিয়া-ইউক্রেন বিদেশমন্ত্রী, তাহলে কাটবে কি এবার যুদ্ধজোট?

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 11/03/2022   শেষ আপডেট: 11/03/2022 7:34 a.m.
রাশিয়া ইউক্রেন বৈঠক https://twitter.com/lesiavasylenko/

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের বুকে চলছে ধ্বংসলীলা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখন আন্তর্জাতিক মহলে সর্বদায় খবরের শিরোনামে রয়েছে। রুশ সেনাদের গোলাবর্ষণের জেরে ইউক্রেনের একাধিক সাজানো-গোছানো শহর রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের বুকে চলছে ধ্বংসলীলা। এরআগে শান্তি বৈঠক হলেও, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে আবারো আজ বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী। যুদ্ধের আবহে এই বৈঠক কি দেবে শান্তির ইঙ্গিত? মস্কো কি স্থায়ীভাবে যুদ্ধ শেষের পথে হাঁটছে? এসব প্রশ্ন নিয়ে চলছিল তুমুল আলোচনা।

আসলে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমত্রো কুলেবার সঙ্গে তুরস্কে আলোচনায় বসেছিলেন ক্রেমলিনের প্রতিনিধি সের্গেই লাভরভ। বলা যেতে পারে, ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম প্রথম সারির নেতারা মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন। বৈঠকে কুলেবার মারিউপোলে একটি মানবিক করিডর ছাড়াও ২৪ ঘন্টার যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন। তবে সেই সম্বন্ধে কোনো সন্তোষজনক প্রতুত্তর জানাননি লাভরভ। বরং তিনি উল্টে জানিয়েছেন এটি বেলারুশের বৈঠকের কোনো বিকল্প বৈঠক নয়। দুইপক্ষই সম্মতি দিয়ে বৈঠক করতে রাজি হয়েছে এবং যুদ্ধপরিস্থিতি সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছে।

এছাড়া রাশিয়ার প্রতিনিধি সের্গেই লাভরভ বলেছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সংকটের সমাধান করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সরাসরি আলোচনার প্রয়োজন হতে পারে। তবে এর জন্য কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। সংকট সমাধানের জন্য সব সময় প্রচুর রাশিয়া। ইউক্রেনে সমস্ত প্রস্তাব শুনেছে এবং তারা নির্দিষ্ট উত্তর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু জানিয়ে রাখা ভাল, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিন দফা আলোচনা হয়ে গেলেও বাস্তবে এখনও অব্দি কোনো সমঝোতায় আসতেই পারেনি তারা।

অন্যদিকে, সম্প্রতি রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের একটি শিশু হাসপাতাল এবং প্রসূতি সেন্টারে ধ্বংস হয়ে যায়। সেই ঘটনায় ৩ জন মৃত এবং ১৭ জনের বেশি আহত হয়। অনেকেই মনে করছেন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন অনেক মহিলা এবং শিশু। এই প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি টুইট করে এই বিষয়ে চরম নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি UN জানিয়েছে, "এই যুদ্ধের কারণে সবচেয়ে বেশি দাম চুকাতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের যাদের এই যুদ্ধ নিয়ে কোনো লাভ ক্ষতি হবে না"। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস বলেছেন, "রাশিয়ার এই আগ্রাসন ন্যাটো বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে দিচ্ছে"।