চাঁদা না দিলেই বাড়ি চিহ্নিত করবে আরএসএস বাহিনী, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, বির্তকে রামমন্দিরের অনুদান কর্মসূচি
গত ১৫ জানুয়ারি থেকে অনুদান সংগ্রহের কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে
মাত্র তিনদিনে ১০০ কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করে রেকর্ড গড়ল রাম মন্দির (Ram Mandir) ট্রাস্ট। গত বছরের নভেম্বর মাসেই তৈরি করা হয় রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এর মধ্যেই বির্তকের মুখে রাম মন্দির। রাম মন্দির নির্মাণে কোন পরিবার চাঁদা দিয়েছে, আর কোন পরিবার দেয়নি- সেই সকল বাড়িগুলোকে চিহ্নিত করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। এ কোনও গুঞ্জন নয়, কারণ এমন অভিযোগ করেছেন খোদ কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। যদিও, তা অস্বীকার করে আরএসএস বাহিনী জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর এমন মন্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়।
অন্যদিকে আরএসএসের দিকে তোপ দাগিয়ে কুমারস্বামীর অভিযোগ, “যাঁরা রাম মন্দিরের জন্য টাকা দিচ্ছেন না রাম মন্দির নিধি সমর্পণ অভিযানের স্বেচ্ছাসেবকরা সেই সব বাড়িগুলোকে চিহ্নিত করে নাম লিখে রাখছে।
এ ব্যাপারে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না চাইলেও আমার সূত্র মারফৎ খবর পাচ্ছি যে, আরএসএসের লোকেরা এসব করে বেড়াচ্ছেন। আমরা কি নাৎসি জামানায় এসে পড়েছি? আরএসএস যা করছে নাৎসিরাও একই কাজ করেছে।"
উল্লেখ্য, রাম মন্দির নির্মাণের কাজ ঘিরে এই মুহুর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ততা অযোধ্যায়। ২০২৪ সালের আগেই মন্দির সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে অনুদান সংগ্রহের কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।